এখনো আসছে রোহিঙ্গারা

টেকনাফ পুরাতন বাস স্টেশন এলাকায় আশ্রয় নেওয়া কয়েকজন রোহিঙ্গা। টেকনাফ, বুধবার ১৭ জানুয়ারি। ছবি: গিয়াস উদ্দিন
টেকনাফ পুরাতন বাস স্টেশন এলাকায় আশ্রয় নেওয়া কয়েকজন রোহিঙ্গা। টেকনাফ, বুধবার ১৭ জানুয়ারি। ছবি: গিয়াস উদ্দিন

মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা আসা কিছুতেই কমছে না। এখন আর নাফ নদী পেরিয়ে নয়, বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে রাতের আঁধারে নৌকায় করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। গত দুই দিনে কক্সবাজারের টেকনাফে নতুন করে আরও ২৩ পরিবারের ৭৬ রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও পুরুষ এসেছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কোনো ভালো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। একদিকে প্রত্যাবাসন নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা, আরেক দিকে কোনো না কোনো সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা ঢুকছে বাংলাদেশে। এতে স্থানীয় প্রশাসনে উদ্বেগ কিছুটা হলেও বেড়েছে।

জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, গত ১৯ দিনে ২১৬ পরিবারের ৭৯০ জন রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্যে থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। তাদের টেকনাফের নয়াপাড়া ও উখিয়ার বালুখালী ও কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠানো হয়েছে।

ইউএনও বলেন, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে গত ২৩ নভেম্বর মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতার স্মারক সই হয়। এরপর থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ সরকার কাজ করছে। এর মধ্যেও আবারও নতুন করে কিছু রোহিঙ্গা পালিয়ে আসছে।

জানতে চাইলে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালী ত্রাণকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নাফ নদীর সীমান্তে বিজিবির কড়া সতর্ক অবস্থায় থাকায় রোহিঙ্গারা এখন বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে রাতের আঁধারে নৌকায় করে টেকনাফে আসছে। এসব রোহিঙ্গাকে বিভিন্ন এলাকায় বিজিবির সদস্যরা পেয়ে তাদের প্রথমে কিছুক্ষণ একটি জায়গায় আটকে রাখেন। পরে তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের মাদক, অস্ত্র ও অবৈধ মালামাল আছে কি না তল্লাশি করে সেনাবাহিনীর হারিয়াখালী ত্রাণকেন্দ্রে পাঠানো হয়।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, চাল, ডাল, সুজি, চিনি, তেল, লবণের একটি করে বস্তা দিয়ে গাড়িতে করে গত দুই দিনে ২৩ পরিবারের ৭৬ জন রোহিঙ্গাকে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে আজ শুক্রবার দুপুরে ৮ পরিবারের ২১ জন রোহিঙ্গা ছিল।