বিএনপির এক 'প্যাথলজিক্যাল লায়ার' আছেন

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির এক ‘প্যাথলজিক্যাল লায়ার’ (স্বভাবজাত মিথ্যাবাদী) আছেন। তিনি ঘরে বসে শুধু নির্বাচনের দোষ খোঁজেন, মিথ্যাচারের ভান্ডার উৎপাদন করেন।

কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব ভালো বললে তাকে বলা হয় সরকারের দালাল। তাদের মধ্যেই তো মিল নেই। একবার বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, আবার বলে সহায়ক সরকার। তারা কী চায়, তা-ই জানে না।’
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় কথাগুলো বলেন ওবায়দুল কাদের। রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের (আইইবি) সেমিনার কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিচারপতি শামসুল হুদার সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভার প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, একটু স্বার্থে লাগলেই বিএনপির কাছে নির্বাচন কমিশন খারাপ হয়ে যায়। রংপুরে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সমালোচনা করেছে। কুমিল্লার কথা বলা হয়েছে, সূক্ষ্ম কারচুপি না হলে আরও বেশি ভোট পেত। আসলে জাতীয় সংসদে ৩০০ আসনই তাদের দিয়ে দিতে হবে, নইলে তাদের নির্বাচনী গবেষকেরা সমালোচনা করবেনই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের তো ভুলভ্রান্তি কিছু থাকবেই। আপনারা ধরিয়ে দিন। আমরা অহংবোধ আর দাম্ভিকতা নিয়ে চলছি না। বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে মুক্তিযুদ্ধ আবার পাকিস্তানের দিকে ধাবিত হবে। ব্লেড ছুরির জন্য ফেনীতে সাবের হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। এবার এলে আরও বেশি করে হবে। আপনারা তো অন্ধকারের অমানিশায় যেতে চান? তাহলে আসুন আমরা বসি, আলোচনা করি।’

নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলো দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে ’৭১ আর ’৯২-এর মতো একজোট হয়ে এক মঞ্চে না দাঁড়ালে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার অভিশাপ থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করা যাবে না। তিনি আরও বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে জামায়াতসহ মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। সুযোগ পেলেই বিএনপি-জামায়াত মরিয়া হয়ে উঠবে এবং সন্ত্রাস করবে।
বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সভাপতি মুনতাসীর মামুন বলেন, পাকিস্তানিতন্ত্রকরণ এখনো শেষ হয়নি। রাজনীতিতে এ মুহূর্তে পাকিস্তানীকরণের জাল বিস্তৃত হয়েছে। এক বছর ধরে মানবতাবিরোধী অনেকগুলো মামলা আটকে আছে। এটা এখন জাতীয় সমস্যা। অ্যাটর্নি জেনারেলকে জানানো হোক, কেন এগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হবে না?
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, নির্বাচনের বছরে সব গণমাধ্যমকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির পক্ষে প্রচার চালাতে হবে। একইভাবে সাম্প্রদায়িক মৌলবাদীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আবদুর রশীদ, প্রজন্ম ’৭১-এর সভাপতি শাহীন রেজা নূর বক্তব্য দেন।