বৃদ্ধকে মারধরের কথা স্বীকার আসামিদের

নাজমুল হক
নাজমুল হক

রাজধানীর ওয়ারীতে বাসার ছাদে উচ্চ শব্দে গানবাজানোর প্রতিবাদ করায় নাজমুল হককে মারধরের কথা স্বীকার করেছেন আসামিরা। ওই মারধরের পর নাজমুল হক (৬৫) মারা যান। এই পুরো ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে নিয়ে দ্রুতই অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় আজ শনিবার দুই আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এ ঘটনায় জড়িত আলতাফ হোসেন, তাঁর ছেলে সাজ্জাদ, মেয়ে রাইয়ান হাসনিন ও তাঁদের স্বজন মির্জা জাহিদ হাসানকে গতকাল শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারী অঞ্চলের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা নাজমুল হককে মারধরের কথা স্বীকার করেছেন। ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ওই চার আসামিকে আজ শনিবার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে সাজ্জাদ ও জাহিদ হাসানকে এক দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কাল রোববার তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

রাজধানীর আর কে মিশন রোডের ৪৪ নম্বর বাড়ির নবম তলায় নাজমুল হক পরিবার নিয়ে থাকতেন। ওই বাসার ছাদের ‘কমিউনিটি হলে’ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে একজনের গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে উচ্চ শব্দে গান বাজানো হচ্ছিল। এর প্রতিবাদ করেছিলেন নাজমুল ও তাঁর স্বজনেরা।

এসি সোহেল রানা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা পুলিশকে জানান, ঘটনার রাতে গানবাজনা বন্ধ করার পর আলতাফ হোসেন তাঁর ছেলেদের বলেন, ‘তোমরা গানবাজনা করো। আর এ জন্য আমাদের অপমানিত হতে হয়।’ এ কথা শুনে উত্তেজিত হয়ে পড়েন আলতাফ হোসেনের ছেলেরা। পরদিন শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাজমুল হক ও তাঁর ছেলে নাসিমুলকে নিচে ডেকে আনেন তাঁরা। প্রথমে কথা-কাটাকাটি থেকে একপর্যায়ে নাসিমুলকে মারধর করেন সাজ্জাদসহ অন্যরা। ছেলেকে মারধর করার সময় বাধা দিতে যান নাজমুল হক। এ সময় তাঁকেও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে নাজমুল মেঝেতে পড়ে যান বলে স্বীকার করেছেন আসামিরা।