ভোটের আগে নম্র হোন, নেতাকর্মীদের অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রথম আলো ফাইল ছবি
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রথম আলো ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনার জন্য নেতা-কর্মীদের দাপট কমিয়ে নম্র হতে বলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। শনিবার বিকেলে সিলেট নগরের রিকাবীবাজারে কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে নগর ও জেলা কমিটির বিশেষ প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আগামী ৩০ জানুয়ারি সিলেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা করার কথা রয়েছে। সেই জনসভা সফল করতেই সিলেটে নগর ও জেলা কমিটির বিশেষ প্রতিনিধি সভার আয়োজন করা হয়।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হলে নেতা-কর্মীদের দাপট কমিয়ে নম্র হতে হবে। জনগণের পাশে গিয়ে ভোট চাইতে হবে। আর বেশি দিন নেই। কয়েক মাস পরই জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হতে হলে চরিত্রে নম্রতা আনতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আগামী ৩০ জানুয়ারি সিলেটের জনসভা থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন।’

বিএনপির সংলাপের আহ্বানকে নির্বোধের প্রলাপ আখ্যা দিয়ে আবুল মাল আবদুল মুহিত আরও বলেন, ‘নতুন করে কোনো সংলাপের প্রয়োজন নেই। আগের আহ্বানে সাড়া না দেওয়ায় ঠকে গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর জন্য তাঁকে এবং তাঁর দলকে মাশুল দিতে হচ্ছে।’

দেশের চার কোটি মানুষ এখনো গরিবের কাতারে রয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকলে দেশের জনগণের আর চাইবার কিছু থাকবে না।’

সভায় বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক হানিফ। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশে করে তিনি বলেন, ‘আপনি বলেছেন দেশের ৮০ ভাগ মানুষ বিএনপির পক্ষে ভোট দেবে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, কী কারণে ৮০ ভাগ মানুষ আপনাদের ভোট দেবে? চোর ও এতিমদের টাকা মেরে খাওয়া দলের পক্ষে ২০ শতাংশ ভোট পাওয়ারও সম্ভাবনা নেই।’

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘দেশের এবার পাঁচবার বন্যা হয়েছে। এতে পাঁচ কোটি মানুষ খাদ্য সংকটে ছিল। কিন্তু কোনো মানুষ অনাহারে, অর্ধাহারে, খালি পেটে বা খালি গায়ে থাকেনি। সরকারের পক্ষ থেকে সব সহযোগিতা করা হয়েছে। দেশের ৯৯ শতাংশ শিশু স্কুলে নাম লিখিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ক্ষমতায় এলে মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাবে।’

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, স্থানীয় সাংসদ মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী কয়েস, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ আবু জাহির প্রমুখ।