'ক্ষমতা দখলের ছক আঁকছে সরকার'

আমীর খসরু মাহমুদ
আমীর খসরু মাহমুদ

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকার পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের ছক আঁকছে। এ জন্য তারা নির্বাচনী প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সরকারের বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি নির্বাচনী প্রকল্পগুলোর সঙ্গে যুক্ত। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণকে বাইরে রেখে আবারও ক্ষমতায় যাওয়া।

আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ মন্তব্য করেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের মুক্তির দাবিতে এর আয়োজন করে ‘আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল মুক্তি পরিষদ’।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়াকে কোর্টে ব্যস্ত রেখে বা সাজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া নির্বাচনী প্রকল্পের অংশ। তাঁর অভিযোগ, দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। দলীয়ভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে, সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করা, সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলার কাজ থেকে দূরে রাখা, গুম-খুন ও রাজনৈতিক নিপীড়ন চালিয়ে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না করা—এসবই সরকারের ক্ষমতায় যাওয়ার ছক।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বন্ধুরা নাকি বলেছেন বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকারের যে প্রস্তাব দেবে, সেটার অপেক্ষায় আছে। আমি আশ্বস্ত হলাম, এটা তো সুখবর। প্রথমবারের মতো শুনলাম, তাদের গণতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। তারা যদি বিএনপির সেই প্রস্তাবের জন্য অপেক্ষা করে থাকে, স্বাগত জানাই।’ তিনি বলেন, বিএনপির প্রস্তাবের কাজ শেষের পথে। প্রস্তাব জাতির কাছে উপস্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে একটি জাতীয় আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্যের একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা করতে হবে।

বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, ‘জুয়েলের মুক্তির জন্য সভা করতে হচ্ছে এ ধরনের একটি ছোট জায়গায়। আমাদের নাগরিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার কোথায় আছে এ থেকে বোঝা যায়। এখন থেকে আমরা মুক্তি চাইব না, মুক্ত হব। মুক্ত হওয়ার জন্য যে কাজগুলো করা দরকার, সেটি আমাদের অনুধাবন করে কাজে লাগাতে হবে। বক্তৃতা বা প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে হবে না।’ এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, শত শত মানুষ গুম হচ্ছে, পুরো ব্যাংকিং খাত লুটপাট করে শেষ করে দিয়েছে সরকার। দেশ থেকে লাখো কোটি টাকা চুরি করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বাক্‌স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ—এসবের বিস্ফোরণ ঘটবে। এর দায়দায়িত্ব ‘অবৈধ’ সরকারকে নিতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জাকারিয়া আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী প্রমুখ।