'আল্লাহর বিচার আছে, খালেদা জেলে যাবেন'

এইচ এম এরশাদ । ফাইল ছবি
এইচ এম এরশাদ । ফাইল ছবি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই আদালতের দেওয়া সাজা মাথায় নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জেলে যাবেন; আদালতে বিচারাধীন মামলার গতিপ্রকৃতি দেখে সেটাই মনে হচ্ছে। আর তা হলে খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে বিএনপির একাংশ নির্বাচনে যেতে চাইবে না। আবার একাংশ দলকে বাঁচিয়ে রাখার কথা বলে নির্বাচনে যাবে বা যেতে পারে। অবস্থা এমন হলে বিএনপির কেউ কেউ জাপায় যোগ দেবে। অবস্থা যাই হোক, পরিস্থিতি জাতীয় পার্টির (জাপা) অনুকূলেই থাকবে। তখন জাপাই হবে সেই নির্বাচনে জোট গঠনে বা জোটের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি বা দল।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ আজ মঙ্গলবার বিকেলে লালমনিরহাট শহরের সদর হাসপাতাল রোডে জাপার কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাসভবন চত্বরে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা ছাড়ার পর আমাকে জেলে নেওয়া হয়েছে, আমার স্ত্রী–সন্তানকেও জেলে যেতে হয়েছে। আল্লাহর বিচার আছে, এবার খালেদা জিয়াও জেলে যাবেন।’

এইচ এম এরশাদ আরও বলেন, ‘আমি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন করি নাই, আমার ছোট ভাই জি এম কাদেরও নির্বাচন করে নাই। এটা রাজনৈতিকভাবে ভালো কী মন্দ হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। আমি এখন কিছু বলতে চাই না। বর্তমান সংসদে জাতীয় পার্টি বিরোধী দল, আবার সরকারের মন্ত্রিপরিষদেরও সদস্য। কেন এ অবস্থা, সচেতন মানুষমাত্রই সবকিছু জানেন।’

আগামী সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনে জি এম কাদেরই জাপার প্রার্থী হবেন ঘোষণা করে এরশাদ বলেন, ‘জি এম কাদের একজন সৎ, সাহসী, সজ্জন, গুণী মানুষ হিসেবে পরিচিত। জি এম কাদের এর আগে বিমান ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ নেই, এমন গুণী মানুষ জাতীয় পার্টির জন্য সম্পদ, তিনি আমার অবর্তমানে পার্টির হালও ধরতে পারেন।’

এরশাদ বলেন, বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে জাতীয় পার্টির শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো জোটে গেলে জাপা রংপুর অঞ্চলের ২২টি আসন পাওয়ার জন্য জোর লবিং করবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে জাপার কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও জেলার জাতীয় পার্টির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।