শেরপুরে কিশোরী ধর্ষণে যুবকের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

শেরপুরে শ্রীবরদীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও এর কারণে কিশোরীর গর্ভের সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করায় এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত যুবকের নাম পলাশ মিয়া (২২)। তিনি শ্রীবরদী উপজেলার গিলাগাছা গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেরপুরের শিশু আদালতের বিচারক (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া ধর্ষণের করণে জন্ম নেওয়া শিশুকন্যাকে তার মায়ের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিচারকাজ চলাকালে জামিন পাওয়ার পর থেকে পলাশ পলাতক।

আদালত সূত্রে মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত পলাশ শ্রীবরদী উপজেলার ১৩ বছরের এক কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়। এ ঘটনা জানার পর পলাশ কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এতে কিশোরীর বাবা ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর পলাশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে শ্রীবরদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। একপর্যায়ে ওই কিশোরী কন্যাসন্তান প্রসব করলে পলাশ আদালতে নবজাতকের বাবা হওয়ার দাবি অস্বীকার করে জামিনে বেরিয়ে আসেন। পরে ওই শিশুর ডিএনএ পরীক্ষায় অভিযুক্ত পলাশ ‘বায়োলজিক্যাল ফাদার’ বলে নিশ্চিত হলে তিনি আত্মগোপন করেন।

মামলার তদন্ত শেষে শ্রীবরদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল পলাশ মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করেন।

শিশু আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ এবং এর কারণে কিশোরীর গর্ভের সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করায় পলাশের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।