আজই অভিযান: প্রধানমন্ত্রী

>
  • কোন এলাকায় নাইটক্লাবে পার্টি হয়, জানতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
  • লাইসেন্সবিহীন নাইটক্লাবের পার্টিতে অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ নেশাগ্রস্ত
  • সংসদে সরকারপ্রধানের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেওয়ার ঘটনা বিরল
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি। ছবি: ফোকাস বাংলা
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি। ছবি: ফোকাস বাংলা

জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে বিরোধী দলের সদস্যের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাদকের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালানোর কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকেই অভিযান চালাব।’

পয়েন্ট অব অর্ডারে কোনো সদস্যের বক্তব্যের পর সরকারপ্রধানের পক্ষ থেকে এমন তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেওয়ার ঘটনা বিরল।

বুধবার সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ছোট ছোট শিশু রাস্তায় মাদক নেয়। গুলশান, বনানী, বারিধারার মতো অভিজাত এলাকায় লাইসেন্সবিহীন নাইটক্লাবে রাতে পার্টি হয়। সেখানে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েদের নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দেখা যায়। তিনি প্রশ্ন রাখেন, সমাজ এভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে?
এ সময় মাইক চালু না করে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা জানতে চান, রাজধানীর কোন কোন এলাকায় এসব কাজ হয়।

পরে ফিরোজ রশীদ বলেন, গোলাপ শাহ মাজার, হাইকোর্ট, কমলাপুর, নয়াপল্টন, গুলিস্তান পার্কে গেলে এই মুহূর্তে অন্তত ৫০০ পাওয়া যাবে।

এরপর প্রধানমন্ত্রী দাঁড়িয়ে বলেন, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য যে কথা বললেন, আমি নোট নিচ্ছি। আজকেই অভিযান চালাব। কারণ আমরা চাই না এ ঘটনা ঘটুক।’

প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ এলাকায় বিশেষ নজর দেওয়া এবং অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার নির্দেশনা দেন।

রাজধানীর অভিজাত এলাকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তবে গুলশান...ওই সব এলাকায় সেই হাইফাই সোসাইটির লোকেরা কী করে, সেখানে কতটুকু আর কী করা যেতে পারে। গুলশানবাসী যদি এ বিষয়টি দেখে, তাহলে ভালো হয়। তবুও আমরা চেষ্টা করব।’