একুশে গ্রন্থমেলা আজ শুরু

  • বেলা তিনটায় উদ্বোধন।
  • উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
  • চার দশকের বেশি সময় ধরে চলে আসছে মেলা।
  • সবচেয়ে বড় পরিসর আর বেশি প্রকাশনা সংস্থা নিয়ে এবারের উত্সব।
  • মেলা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
একুশে গ্রন্থমেলা  ফাইল ছবি।
একুশে গ্রন্থমেলা ফাইল ছবি।

ফেব্রুয়ারি মানেই বইমেলার মাস। ১১ মাস ধরে বইমেলার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন পাঠক, উৎসবপ্রিয় বাঙালি। আজ সেই অপেক্ষার অবসান হচ্ছে।

চার দশকের বেশি সময় ধরে চলে আসা এ মেলার দ্বার উন্মোচন হতে যাচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। মেলার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরিসর আর বেশি প্রকাশনা সংস্থা নিয়ে বইয়ের এ উত্সব চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আজ বেলা তিনটায় অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনেরও উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী গ্রন্থমেলা পরিদর্শন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথি লেখক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাজ্যের এগনিস মিডোসম, ক্যামেরুনের জয়েস অ্যাসউনটেনটেং, মিসরের ইব্রাহিম এলমাসরি ও সুইডেনের অরনে জনসন। অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৭ তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

মেলার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, আগের চেয়ে আরও সুন্দর ও গোছানো মেলা উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে বিশাল পরিসরের এ মেলা এবার অন্য যেকোনোবারের চেয়ে নান্দনিক ও সফল হবে।

এদিকে গতকাল বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শনে যান সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি বলেন, প্রতিবার বইমেলার শুরুতে দেখা যায়, কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তারপর বাংলা একাডেমি, প্রকাশক, ক্রেতা—সবাই মিলে জাদুর মতো মেলাটিকে গুছিয়ে ফেলেন। স্টলগুলো নির্মাণ এখনো অসম্পূর্ণ থেকে গেলেও মেলা শুরু হতেই সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।

মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা সামনে রেখে এখন মেলার দুই প্রাঙ্গণ বাংলা একাডেমি চত্বর ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রস্তুত। প্রায় পাঁচ লাখ বর্গফুট এলাকায় ৪৫৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭১৯টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমিসহ ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৫ হাজার ৫৩৬ বর্গফুট আয়তনের ২৫টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ১৩৬টি লিটল ম্যাগাজিনকে ‘লিটল ম্যাগাজিন কর্নারে’ স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবারও শিশু চত্বর মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকবে। মাসব্যাপী গ্রন্থমেলায় এবারও ‘শিশু প্রহর’ ঘোষণা করা হবে। মেলা ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।