আত্মসাতের ১৩ কোটি টাকা বণ্টন!

>
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
  • ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের প্রায় ১৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ।
  • ভূমি কর্মকর্তার জবানবন্দি।
  • আত্মসাতের টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়েছে।
  • আত্মসাতে জড়িত কর্মকর্তাদের নাম জবানবন্দিতে উল্লেখ।

ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের প্রায় ১৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে তা বস্তায় ভরে পালানো ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সেতাফুল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ওই টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়েছে। আত্মসাতে জড়িত হিসেবে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দুলাল চন্দ্র সূত্রধরসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন তিনি।

তবে এ আত্মসাতের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ওই দুই কর্মকর্তা।

অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জবানবন্দিতে সেতাফুলের ওই তথ্য দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল শনিবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, কিশোরগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তছলিমা আক্তারের খাসকামরায় গত শুক্রবার সেতাফুল স্বীকারোক্তিমূলক ওই জবানবন্দি দেন। বেলা একটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। জবানবন্দিতে সেতাফুল ইসলাম আত্মসাতের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ (রাজস্ব) কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে তিনি টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং টাকার বেশির ভাগ ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়ে গেছে। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারকের নির্দেশে সেতাফুলকে পুনরায় কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দুদকের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, তাঁরা সেতাফুলের কাছ থেকে নগদ কিছু টাকা উদ্ধার করেছেন। আরও টাকা তাঁর কাছে রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে জেলা প্রশাসক মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘সেতাফুল আমাকে জড়িয়ে যে কথা বলছেন, তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।’ আর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দুলাল চন্দ্র সূত্রধর বলেন, তিনি আত্মসাতের ঘটনায় জড়িত নন; বরং আত্মসাতের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে তিনিই প্রথম জানান।