শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুর্বলতায় বারবার বিব্রতকর অবস্থা

মাহবুব উল আলম হানিফ। ফাইল ছবি।
মাহবুব উল আলম হানিফ। ফাইল ছবি।

সরকারি দলের সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অবস্থাপনা ও দুর্বলতা এবং ব্যাংক খাতে কিছু অব্যবস্থাপনার কারণে সরকার বারবার বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে।

জাতীয় সংসদে বুধবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে হানিফ এ কথা বলেন।

পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সমালোচনার মুখে থাকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করেন হানিফ। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অবস্থাপনা ও দুর্বলতার কারণে আমরা বারবার বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছি। শিক্ষা মন্ত্রীকে বলব, এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন। যে অব্যবস্থাপনা হয়েছে, তা দ্রুত দূর করে সরকারের অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখতে উদ্যোগ নেবেন।’

হানিফ বলেন, ‘সব খাতে উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের পাশাপাশি কিছু অস্বস্তির কারণও আছে। ব্যাংক খাতে কিছু অব্যবস্থাপনার কারণে বারবার আমরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছি।’ মন্ত্রীসহ ব্যাংক খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এদিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না কোনো অব্যবস্থাপনার কারণে দেশের মানুষের ভোগান্তি হোক। সরকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়ুক।’
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমামও ব্যাংক খাত ও প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, দেশের ব্যাংক খাতে লুটপাট হচ্ছে। এক পরিবারের ছয়জনকে পরিচালক করার সুবিধা দিয়ে করা ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধনী আইনের ইতিহাসে একটি ভয়ংকর নজির হয়ে থাকবে। ব্যাংক খাতে নৈতিকতার সংকট চলছে। ব্যাংক পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ব্যাংকগুলো কাগুজে প্রফিট দেখাচ্ছে।

বাসভর্তি প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা উল্লেখ করে ফখরুল ইমাম বলেন, এসএসসি পরীক্ষার সাতটি বিষয়ের সব কটি প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। এটি এখন সরকারের নাগালের বাইরে।

ফখরুল ইমাম বলেন, পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সব বড় প্রকল্পে খরচ বাড়ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো কলঙ্কের প্রতীক হয়ে থাকবে।
জাতীয় পার্টি ক্ষমতা ছাড়ার পর এরশাদ দম্পতির মামলা ও কারভোগের কথা তুলে ধরে ফখরুল ইমাম বলেন, ইতিহাস বারবার ফিরে আসে। রাগের বশবর্তী হয়ে রাজনীতির বাইরে গিয়ে কোনো কিছু করতে চাইলে সেটা আবার ফিরে আসতে পারে।

ফখরুল বলেন, ‘যাঁরা ক্ষমতায় আছেন, তাঁদের সাবধানবাণী উচ্চারণ করতে হবে। আপনাদের সংযত হতে হবে। যাঁরা ক্ষমতায় নেই, তাঁদেরও বলতে চাই, ক্ষমতার লোভে সবকিছু ভুলে গিয়ে শুধু ক্ষমতার পেছনে ছুটলে হবে না। দেশকে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে নিতে চাই। সবাইকে নিয়ে ইনক্লুসিভ নির্বাচন করতে চাই।’