বিটিসিএলে ১২০ জনের নিয়োগ কবে?

নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করছেন উত্তীর্ণরা। ছবি: সংগৃহীত
নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করছেন উত্তীর্ণরা। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিটিসিএলে নিয়োগপ্রক্রিয়ার সব ধাপ শেষ হওয়ার পরও ঝুলে আছে ১২০ জন নিয়োগপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ। নিয়োগ পাওয়ার আশায় দিন গুনছেন প্রার্থীরা।

বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। তবে আর কত সময় লাগবে, সে ব্যাপারে সংস্থাটি কিছু বলতে পারেনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে শুরু হয় জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (অ্যাকাউন্টস) ও অ্যাকাউন্ট্যান্ট পদের নিয়োগপ্রক্রিয়া। এ দুই পদে ২০১৬ সালের এপ্রিলে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট এই পরীক্ষা নেয়। মৌখিক পরীক্ষা নেয় বিটিসিএল। এ পরীক্ষা শেষ হয় একই বছরের নভেম্বর মাসে।

প্রার্থীরা অভিযোগ করেন, পরে পরিবর্তন আসে বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে। নিয়োগ বাস্তবায়নে অনীহা দেখাতে থাকে নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। মৌখিক পরীক্ষার সাত মাস পরে ২০১৭ সালে আগস্টে পদ দুটিতে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করে বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ। গত বছরের নভেম্বর মাসে সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষাও শেষ হয়। এখন এসব প্রার্থীর নিয়োগপত্র না দিয়ে কালক্ষেপণ করছে বিটিসিএল নিয়োগ কর্তৃপক্ষ।

নিয়োগ বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তায় পড়ে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীরা গত ২৯ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিয়োগ বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেন। ওই কর্মসূচিতে তাঁরা ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মানববন্ধন শেষে তাঁরা মন্ত্রী বরাবর এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি দেন করেন।

নিয়োগপ্রার্থীদের অনেকে জানান, এই নিয়োগের জন্য অপেক্ষায় থাকতে থাকতে তাঁদের অনেকেরই সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স শেষ হয়ে গেছে। কষ্টকর হয়ে উঠছে তাঁদের পারিবারিক এবং সামাজিক জীবন।

নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিসিএলের পরিচালক (জনসংযোগ ও প্রকাশনা) মীর মোহাম্মদ মোরশেদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই নিয়োগের বিষয়ে কাজ চলছে। সেটি এখন শেষ পর্যায়ে আছে। নিয়োগে কোনো ত্রুটি আছে কি না, তা নিয়ে একটি কমিটি কাজ করছে। কমিটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলে নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে। 
তবে ঠিক কত দিন পর এটি সম্পন্ন হবে, তা জানতে চাইলে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি বিটিসিএলের পরিচালক মীর মোহাম্মদ মোরশেদ ।