মারামারি থামাতে গিয়ে বাবার মৃত্যু

গাজীপুরের হায়দরাবাদ এলাকায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে সন্তানদের মারামারি থামাতে গিয়ে বাবার মৃত্যু হয়েছে। মারামারির সময় ধাক্কা খেয়ে তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিহত ব্যক্তি হলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের হায়দরাবাদ এলাকার রাজ্জাক মোল্লা (৭০)।

এলাকাবাসী ও নিহত ব্যক্তির পারিবারিক সূত্র জানায়, হায়দরাবাদ এলাকায় নিজ বাড়িতে দুই স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের নিয়ে থাকতেন রাজ্জাক মোল্লা। প্রথম স্ত্রীর ঘরে দুই ছেলে ও এক মেয়ে। দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে তিন ছেলে ও এক মেয়ে। দীর্ঘদিন ধরে দুই ঘরের ছেলেদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ চলছিল। গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে প্রথম স্ত্রীর সন্তান বিল্লাল মোল্লা ও খোকন মোল্লা বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পথে বাড়ির পাশে একটি মার্কেটের সামনে দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই ছেলে সুমন মোল্লা ও স্বপন মোল্লা তাঁদের থামান। এ সময় পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। খবর পেয়ে বাবা রাজ্জাক মোল্লা মারামারি থামাতে যান। একপর্যায়ে ছেলেদের ধাক্কা খেয়ে তিনি মাটিতে পড়ে যান। অচেতন অবস্থায় আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাজ্জাক মোল্লার ছেলে খোকন মোল্লা বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

টঙ্গী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রমজান আলী হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বলেন, রাজ্জাক মোল্লার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল জয়দেবপুর থানার আওতাধীন। ওই ঘটনায় পরবর্তী তদন্ত জয়দেবপুর থানার পুলিশ করবে।