ইব্রাহিম স্মৃতি স্বর্ণপদক পেলেন তিনজন

বিভিন্ন খাতে অবদানের জন্য এ বছর তিন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম স্মৃতি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়েছে। রোববার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজধানীর বারডেম হাসপাতাল মিলনায়তনে তাঁদের হাতে এ পদক তুলে দেওয়া হয়। ছবি: প্রথম আলো
বিভিন্ন খাতে অবদানের জন্য এ বছর তিন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম স্মৃতি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়েছে। রোববার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজধানীর বারডেম হাসপাতাল মিলনায়তনে তাঁদের হাতে এ পদক তুলে দেওয়া হয়। ছবি: প্রথম আলো

বিভিন্ন খাতে অবদানের জন্য এ বছর তিন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম স্মৃতি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজধানীর বারডেম হাসপাতাল মিলনায়তনে তাঁদের হাতে এ পদক তুলে দেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধ, অর্থনীতি ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাংলাদেশ হৃদ্‌রোগ চিকিৎসায় বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. আবদুল মালিক এবং ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য ইমেরিটাস অধ্যাপক হাজেরা মাহতাব এই স্বর্ণপদক পেয়েছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম সমাজসেবার এক অনন্য দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান যত দিন থাকবে, মানুষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় তাঁকে স্মরণ করবে। পদক পাওয়া ব্যক্তিদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যাঁরা এই পদক পেলেন, তাঁদের সম্মান জানিয়ে আমরাও সম্মানিত বোধ করছি।’

পরে পদকপ্রাপ্ত তিনজন তাঁদের অনুভূতি তুলে ধরেন।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘চিকিৎসক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সঙ্গে আমার পরিচয় ১৯৫৩ সাল থেকে। চিকিৎসাসেবায় জড়িত থাকার সময় তাঁর সঙ্গে মেশার সুযোগ হয়েছিল। তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি সমাজসেবায় যে অবদান রেখে গেছেন, তাঁর জন্য আমি গর্বিত।’

অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আজ আনিসুজ্জামানের জন্মদিন। তাঁকে শুভেচ্ছা জানাই। আনিসুজ্জামান এ দেশের বাতিঘর। এটাই তাঁর বড় পরিচয়।’

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে জাতীয় অধ্যাপক ডা. আবদুল মালিক বলেন, ‘ইব্রাহিম স্যার আমার শিক্ষক ছিলেন। আবার আমার রোগী হিসেবেও তাঁকে পেয়েছি। তিনি দিনরাত সব সময় বারডেম নিয়ে চিন্তা করতেন। তিনি শিখিয়ে গেছেন, এ জীবনে যেন মানুষের জন্য কল্যাণকর কিছু করা যায়।’

হাজেরা মাহতাব বলেন, ‘আমার বাবার কথায় উৎসাহিত হয়েই আমি চিকিৎসা পেশায় এসেছি। এ জন্য যখন আমার জীবনের লক্ষ্য লিখতাম, তখন চিকিৎসক হওয়ার কথাই লিখতাম।’

ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম স্মৃতি পরিষদের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. এ আর খান বলেন, ‘যাঁরা পদক পাচ্ছেন, তাঁদের জন্য আমি গর্বিত।’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডা. সি এম দিলওয়ার রানা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ খান, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বারডেম হাসপাতালের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাজমুন নাহার, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আবদুল মোমেন, স্মৃতি পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সহসভাপতি দৌলতুন্নেসা ও সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম চৌধুরী।