হিলিতে ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবি, বন্ধের হুমকি

দিনাজপুরের হিলি রেলস্টেশনে সব ধরনের ট্রেনের পূর্ণাঙ্গ যাত্রাবিরতি এবং রেলস্টেশন আধুনিকায়নের দাবিতে মঙ্গলবার স্টেশনের সামনে মানববন্ধন করা হয়।
দিনাজপুরের হিলি রেলস্টেশনে সব ধরনের ট্রেনের পূর্ণাঙ্গ যাত্রাবিরতি এবং রেলস্টেশন আধুনিকায়নের দাবিতে মঙ্গলবার স্টেশনের সামনে মানববন্ধন করা হয়।

দিনাজপুরের হিলি রেলস্টেশনে আন্তনগরসহ সব ধরনের ট্রেনের পূর্ণাঙ্গ যাত্রাবিরতি এবং আধুনিকায়ন করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসী। দাবি মানা না হলে আগামী ১৫ মার্চ হিলিতে রেলপথ অবরোধ করার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত হিলি রেলস্টেশনের সামনে মানববন্ধন করে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন হিলির পৌর মেয়র জামিল হোসেন। এতে বক্তব্য দেন হাকিমপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইমদাদুল হক চৌধুরী, হিলি আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ, উপজেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক সামছুল হুদা খান প্রমুখ।

মেয়র জামিল হোসেন বলেন, ‘হিলি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর। সরকার এখান থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পায়। এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশে যাতায়াতের জন্য প্রতিদিন দেশি-বিদেশি বহুযাত্রী হিলিতে আসেন। নিরাপদ যাত্রাপথ হিসেবে ও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে এই বন্দর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু হঠাৎ করেই হিলি রেলস্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

মেয়র বলেন, যেখানে রেলস্টেশনটি আধুনিকায়ন এবং সব আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির জন্য হিলিবাসী আবেদন করছে, সেখানে কোনো প্রকার অবগতি ছাড়াই ৭ জানুয়ারি থেকে রেলস্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ১৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে স্থানীয় সাংসদ শিবলী সাদিক এ বিষয়ে রেলমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন। এরপরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

বক্তারা বলেন, আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে হিলি রেলস্টেশনে সব ট্রেনের পূর্ণাঙ্গ যাত্রাবিরতি এবং স্টেশন আধুনিকায়ন করা না হলে ১৫ মার্চ থেকে হিলিতে রেলপথ অবরোধ করা হবে। এর আগে গত ৩০ জুন একই দাবিতে রেলস্টেশনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেলে মোবাইলে রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (পাকশী বিভাগ) শওকত জামিল মোহসীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।