শাহবাগে মশাল মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ

অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে মশাল মিছিল। ছবি: প্রথম আলো
অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে মশাল মিছিল। ছবি: প্রথম আলো

গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, অধ্যাপক জাফর ইকবাল যেকোনো সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে নির্বিঘ্নে তরুণদের পক্ষ নিয়েছেন। তাঁর ওপর হামলা মুক্তবুদ্ধির আন্দোলন নস্যাতের ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়ার অংশ।

অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলার প্রতিবাদে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে তাৎক্ষণিক মশাল মিছিলের আগে এক সমাবেশে ইমরান এইচ সরকার এসব কথা বলেন। জাফর ইকবালের সুচিকিৎসা ও তাঁর ওপর হামলার মূল হোতাদের খুঁজে বের করার দাবিতে তিনি কাল রোববার বিকেল চারটায় শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সমাবেশে ইমরান এইচ সরকার বলেন, এই হামলার দায় সরকার এড়াতে পারে না। বিভিন্ন সময় অধ্যাপক জাফর ইকবাল হুমকি পেয়েছেন, সরকারও বলেছে তারা নিরাপত্তা দিচ্ছে। সেই নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেদ করে তাঁর ওপর হামলা করা হয়েছে।

ইমরান এইচ সরকার বলেন, যাঁরা মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেন, লেখালেখি করেন, তাঁদের ওপরই বারবার হামলা হচ্ছে। কিন্তু মনে হচ্ছে, সরকার হামলাকারীদের চেয়ে যারা সরকারের সমালোচনা করে, তাদের দমাতে ব্যস্ত। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময়েই এমন ঘটনা অব্যাহত ছিল। কিন্তু সেসব ঘটনায় যেভাবে বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হয়েছে, হামলাকারীদের লালন করা হয়েছে, সেখানে কোনোভাবেই এই হামলাকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই।

মশাল মিছিলে নেতৃত্ব দেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান। ছবি: প্রথম আলো
মশাল মিছিলে নেতৃত্ব দেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান। ছবি: প্রথম আলো

সমাবেশে যুব ইউনিয়নের নেতা খান আসাদুজ্জামান মাসুমের সঞ্চালনায় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জিএম জিলানী, ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা বাকী বিল্লাহ, প্রকাশক রবিন আহসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সমাবেশ শেষে মশাল হাতে মিছিলটি শাহবাগ থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় ঘুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) হয়ে আবার শাহবাগে এসে শেষ হয়।
পাশেই জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর জঙ্গিবাদী হামলা: রুখো সারা বাংলা’ ব্যানার নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আলাদা সমাবেশ করেন। সমাবেশে লেখক আসলাম সানী, সাংবাদিক অঞ্জন রায়, শিক্ষক নুরুল হুদা, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকদের মধ্যে কামাল পাশা চৌধুরী, বাপ্পাদিত্য বসু, এফ এম শাহীন, কানিজ আকলিমা সুলতানা প্রমুখ বক্তব্য দেন। তাঁরাও কাল বিকেলে হামলার বিচারের দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেন। এ ছাড়া জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন স্লোগান ’৭১-এর নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী।