জাফর ইকবাল শঙ্কামুক্ত, হামলাকারীর স্বজন আটক

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এক যুবকের ছুরিকাঘাতে আহত লেখক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল এখন শঙ্কামুক্ত। তিনি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল শনিবার রাতে আইএসপিআর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদুল হাসান প্রথম আলোকে মুঠোফোনে এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, জাফর ইকবালের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর রোববার বেলা ১১টায় তাঁর বিষয়ে সবশেষ তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হবে।

জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী ফয়জুর রহমানের বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বাসাটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী কুমারগাঁওয়ের শেখপাড়ার। সেখান থেকে তাঁর মামা সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের বহিষ্কৃত নেতা ফজলুর রহমানকে আটক করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের সদস্যসচিব বন্দী তালুকদার বলেন, ফজলুর রহমান জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিল। তিন মাস আগে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী কুমারগাঁওয়ের শেখপাড়ার বাসাটিতে গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এ সময় বাসাটি বাইরে থেকে তালা লাগানো ছিল। পরে পুলিশ তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তালাবদ্ধ বাসার ভেতরে হামলাকারী যুবকের মামা অবস্থান করছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে থানায় আনা হয়। এ ছাড়া বাসা থেকে একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে।

গতকাল বিকেলে হামলার পর রক্তাক্ত অবস্থায় জাফর ইকবালকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক দেবপদ রায় জানান, জাফর ইকবালকে ৫টা ৪৫ মিনিটে নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করার পরে ইএনটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এন কে সিনহাকে প্রধান করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। চিকিৎসক বোর্ডের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচার হয়। রাত ৯টার দিকে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে গতকাল রাতেই তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তাঁকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে।