জাফর ইকবালের ওপর হামলায় নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভ

অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ। সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, নয়াদিল্লি, ৪ মার্চ। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ। সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, নয়াদিল্লি, ৪ মার্চ। ছবি: সংগৃহীত

অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় নয়াদিল্লিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার ভারতের স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা চাণক্যপুরী ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি পালন করেন।

এ প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্থানের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। তাঁদের হাতে ‘লাভ ফর জাফর ইকবাল স্যার’ লেখা বড় ব্যানার দেখা যায়।

সমাবেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অরূপ রতন সাহা বলেন, ‘আমরা এখানে স্যারের প্রতি আমাদের ভালোবাসার কথা জানাতে এসেছি। মুক্ত বুদ্ধির চর্চা কখনো থামবে না। আমরা চাই দ্রুত এ হামলার যথাযথ বিচার হোক।’

সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রিয়াদ আরিফ প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, ‘শৈশবের পড়া প্রথম বই জাফর ইকবাল স্যারের। তিনি আমাদের মুক্তবুদ্ধি চর্চার অনুপ্রেরণা। আমরা তাঁকে আইডল মানি। তাঁকে আঘাত মানে তরুণ প্রজন্মকে আঘাত।

শিক্ষার্থীরা ‘উই আর উইথ জাফর ইকবাল স্যার’, ‘উই আর উইথ ফ্রি থিংকিং’ লেখা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে সমাবেশে অংশ নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় ৪৫ জন শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়। এর মধ্যে অন্যান্য দেশের ছিল প্রায় ১৫ জন। তাঁরা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জাফর ইকবালের কথা জেনে এই প্রতিবাদে অংশ নেন।

ওই সমাবেশে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ইমরান হোসাইন সৌরভ বলেন, ‘স্যার তাঁর ছাত্রদের খুব ভালোবাসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি আমাদের ছায়ার মতো আগলে রাখতেন।’

ইরাম খান নামের একজন ভারতীয় পিএইচডি গবেষক বলেন, ‘মুক্তচিন্তার বিরুদ্ধে হামলা পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই একটি সংকট। জাফর ইকবাল সম্পর্কে যতটা জেনেছি, তাতে মনে হয়েছে ওনার মাঝে দেশের প্রতি গভীর মমত্ব ছিল। দ্রুত এ ধরনের হামলার হোতাদের খুঁজে বের করা দরকার’।

শিক্ষার্থীদের এই সমাবেশ চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। এতে ইমরান হোসাইন, ফেরদৌসী বেগম, ভারতীয় শিক্ষার্থী উমেশ প্রমুখ বক্তব্য দেন।