অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৩৯ সাহিত্যিক

অতিথিদের সঙ্গে ‘অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমী শিশুসাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তরা। ছবি: প্রথম আলো
অতিথিদের সঙ্গে ‘অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমী শিশুসাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তরা। ছবি: প্রথম আলো

অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমীর ছয় বছরের শিশুসাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছে আজ শনিবার। দুপুরে শিশু একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে শিশুসাহিত্যের সাত বিভাগে ৩৯ জন সাহিত্যিক ও প্রচ্ছদশিল্পীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

পুরস্কার তুলে দেওয়ার আগে বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী তাঁর নিজের জীবনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বলেন, ‘অল্প বয়সে লিখে স্কুল থেকে পুরস্কার পেয়েছিলাম। সেটা ছিল আমার জীবনের পরম পাওয়া এবং পরবর্তী জীবনে এটা আমাকে বেশ অনুপ্রাণিত করেছে।’

উপস্থিত শিশুদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা এখনই ঠিক করে নেবে বড় হয়ে তুমি কী হতে চাও। এ কাজে তোমরা শিক্ষক, অভিভাবক ও সহপাঠীদের সহায়তা নেবে। এখনই যদি তোমরা এটা ঠিক করতে পারো, তাহলে অবশ্যই তোমরা সফল হবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সবার আগে পরিবারকে সচেতন হওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। সভাপতির বক্তব্যে সেলিনা হোসেন বলেন, পুরস্কার কোনো লেখকের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য হতে পারে না। এটা হতে পারে লেখকের অনুপ্রেরণার উৎস।

অর্থমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন শিশুসাহিত্যিক আখতার হুসেন। ছবি: প্রথম আলো
অর্থমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন শিশুসাহিত্যিক আখতার হুসেন। ছবি: প্রথম আলো

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব নাছিমা বেগম, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জায়েদ বখত ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস্-উল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন শিশু একাডেমীর পরিচালক আনজীর লিটন।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ১৪১৮ থেকে ১৪২৩ বঙ্গাব্দ—এই ছয় বছরের অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমী শিশুসাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার হিসেবে ১৫ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

১৪১৮ বঙ্গাব্দে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন রাশেদ রউফ, খালেদ হোসাইন, মোহিত কামাল, কাজী কেয়া, তপন চক্রবর্তী ও নাসিম আহমেদ।

১৪১৯ বঙ্গাব্দে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন হাসনাত আমজাদ, দন্ত্যস রওশন, শেখ আনোয়ার, হানিফ খান ও মনিরুজ্জামান পলাশ।

১৪২০ বঙ্গাব্দে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন আখতার হুসেন, দীপু মাহমুদ, সোহেল আমিন বাবু, ফারুক হোসেন, আ শ ম বাবর আলী ও বিপ্লব চক্রবর্তী।

১৪২১ বঙ্গাব্দে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন রোমেন রায়হান, ইমতিয়ার শামীম, তপন বাগচী, মনসুর আজিজ ও মোমিন উদ্দীন খালেদ।

১৪২২ বঙ্গাব্দে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ইমদাদুল হক মিলন, মাহফুজুর রহমান, পলাশ মাহবুব, রীতা ভৌমিক, আলী আসগর, হাসান খুরশীদ রুমী, আশিক মুস্তাফা ও সব্যসাচী মিস্ত্রী।

১৪২৩ বঙ্গাব্দে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন আবুল মোমেন, মশিউর রহমান, মোশতাক আহমেদ, মারুফুল ইসলাম, আহমাদ উল্লাহ, শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, মিজানুর রহমান কল্লোল, জামিল বিন সিদ্দিক ও উত্তম সেন।

শেষ পর্বে শিশু একাডেমীর শিশুদের পরিবেশনায় ছিল নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।