বিদ্যুৎ খাতে ৫-৭ বছর ভর্তুকি দিতে হবে

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রথম আলো ফাইল ছবি
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রথম আলো ফাইল ছবি

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সরকারকে বিদ্যুৎ খাতে আরও পাঁচ-সাত বছর ভর্তুকি দিতে হবে। তবে কম দামে যত দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে, ততই ভর্তুকি কমতে থাকবে। এই চ্যালেঞ্জটা বিরাট।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সেমিনারে এসব কথা বলেন নসরুল হামিদ। বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন ‘বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে রূপান্তর’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে ৮০ লাখ মানুষ এখনো লাইফ লাইনে রয়েছে। এই গ্রাহকদের মাত্র দুই টাকা করে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়। এই খাতে ভর্তুকি কমাতে কম দামে বিদ্যুৎ উৎপাদন জরুরি। এ জন্য কয়লা, পরমাণু ও এলএনজির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাচ্ছে সরকার। কম দামে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হলে ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসা যাবে। এই ভর্তুকি না দেওয়া হলে ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়।

বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বহুদিন যাবৎ চেষ্টা করছি বেসরকারি খাতে যেতে। ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন তো আসে বেসরকারি খাত থেকেই। তবে বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালনের ক্ষেত্রে সরকার বেসরকারি খাতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। একটা নীতিমালা লাগবে। পুরো খাতটি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে সরকারিভাবে। তাই বেসরকারীকরণ করাটা বেশ কঠিন।’

নসরুল হামিদ আরও বলেন, ‘এই জায়গায় বেসরকারি খাতের একটা আগ্রহ আছে। আমরা পরীক্ষামূলক একটা প্রকল্প নিতে পারি। নীতিমালা তৈরির জন্য মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনা করছি। বিতরণে না গেলেও ট্রান্সমিশনে আপাতত আমরা চিন্তা করতে পারি। তবে একটা যথাযথ নীতিমালা থাকা দরকার। ভবিষ্যতে কী চ্যালেঞ্জ আসতে পারে বা কী প্রভাব পড়তে পারে তা পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।

বর্তমানে শুধু সংযোগ দেওয়ার ওপর মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন শুধু লাইন দেওয়ার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। দ্রুত পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। শহরে ২০ শতাংশ হারে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। গ্রাম–শহরের মধ্যে পার্থক্য কমে যাচ্ছে।’