তাক লাগিয়ে দিল মিতু

মিতু আখতার
মিতু আখতার
• বাংলা চ্যানেল জয়ী প্রথম কিশোরী মিতু।
• সময় নিয়েছে ৪ ঘণ্টা ৩২ মিনিট ৫১ সেকেন্ড।
• জয়ের পর মিতুর মন্তব্য, চেষ্টা করলে সফল হওয়া যায়।


প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোনো কিশোরী ‘বাংলা চ্যানেল’ জয় করল। তার নাম মিতু আখতার (১৬)। সে সময় নিয়েছে ৪ ঘণ্টা ৩২ মিনিট ৫১ সেকেন্ড। অবশ্য মিতু একা নয়, গতকাল সোমবার তার সঙ্গে আরও ১৭ পুরুষ সাঁতারু বাংলা চ্যানেল জয় করেন।

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্ট মার্টিন পর্যন্ত ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গোপসাগরের স্রোতোধারাটি ‘বাংলা চ্যানেল’ নামে পরিচিত। এই চ্যানেল জয় করতে গতকাল দুই কিশোরীসহ ২৮ সাঁতারু অংশ নেন। তবে শেষ পর্যন্ত সফল হন ১৮ সাঁতারু।

বাংলা চ্যানেল জয় করার পর কিশোরী মিতুর মন্তব্য, এর আগে কখনো সাগরে সাঁতার কাটেনি সে। কিন্তু চেষ্টা করলে সফল হওয়া যায়।

সমাজের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে বাংলা চ্যানেল জয় করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল মিতু। চ্যালেঞ্জটি হচ্ছে, এ দেশের নারীরা আর পিছিয়ে থাকবে না। তার সাফল্যে অন্য নারীরা উৎসাহিত হবে।

‘বাংলা চ্যানেলের’ আবিষ্কারক প্রয়াত আলোকচিত্রী কাজী হামিদুল হকের স্মরণে গতকালের এই সাঁতার প্রতিযোগিতা আয়োজন করে ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার এবং এক্সট্রিম বাংলা নামের দুটি সংগঠন। বেলা ১১টা ১৭ মিনিটে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট এলাকা থেকে ২৮ জন সাঁতার শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে ১৪ বছরের কিশোরী থেকে ৬৬ বছর বয়সী পুরুষও ছিলেন। তবে ১৪ বছরের পূর্ণিমা খাতুন শেষ পর্যন্ত সাঁতার শেষ করতে পারেনি।

প্রতিযোগীদের মধ্যে মাত্র ৩ ঘণ্টা ৮ মিনিট ৭ সেকেন্ডে চ্যানেলটি পাড়ি দিয়ে রেকর্ড গড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম (২২)। এর আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১৬ সালের। ওই বছর ৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিটে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন ভারতের সাঁতারু রিতু কেডিয়া।

রেকর্ডের পর সাইফুল ইসলাম বলেন, এমন অর্জনে কে না খুশি হয়। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচিতি ছড়িয়ে দিতে এ ধরনের আয়োজন আরও বেশি করা দরকার।

গতকাল সাঁতার প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ জামান খান কবির। বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের সিনিয়র ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভ আবদুল্লাহ আল মুহিন।