মা-মেয়েকে নির্যাতন: সেই কাউন্সিলর বরখাস্ত

বগুড়ায় নির্যাতন করে মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয় (ফাইল ছবি)
বগুড়ায় নির্যাতন করে মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয় (ফাইল ছবি)

বগুড়ার পৌর কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বগুড়ায় ছাত্রী ধর্ষণ এবং পরে মা-মেয়েকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব আবদুর রউফ মিয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে মারজিয়া হাসানকে বরখাস্ত করার বিষয়টি জানানো হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ওই মামলার মূল আসামি তুফান সরকারের স্ত্রীর বড় বোন মারজিয়া।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সুফিয়া নাজিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বগুড়া পৌরসভার নারী কাউন্সিলর মারজিয়া হাসানকে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইনের ২০০৯-এর ৩১ উপধারা (১) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পাঠানো এ-সংক্রান্ত চিঠি বুধবার বিকেলে তিনি (মারজিয়া) হাতে পেয়েছেন।’

মারজিয়া বগুড়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর। স্থানীয় সরকার বিভাগের চিঠিতে ছাত্রী ধর্ষণ মামলার সার্বিক অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। বরখাস্তের বিষয়টি উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, মারজিয়া হাসান কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করলে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সেবাপ্রত্যাশী সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতি সঞ্চার হতে পারে। ফলে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

তুফান সরকার (বাঁয়ে) ও কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান
তুফান সরকার (বাঁয়ে) ও কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান

বগুড়া পৌরসভার মেয়র এ কে এম মাহবুবর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কাউন্সিলর মারজিয়া হাসানের বরখাস্তের আদেশের চিঠি ১৮ মার্চ পৌরসভায় পৌঁছায়। এখন অন্য একজন কাউন্সিলর ওই এলাকার কাউন্সিলর হিসেবে সাময়িকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।

ভালো কলেজে ভর্তির করিয়ে দেওয়ার কথা বলে গত বছরের ১৭ জুলাই ওই ছাত্রীকে এক বাসায় নিয়ে যান সে সময়ের বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক (বর্তমানে বহিষ্কার) তুফান সরকার। পরে সেখানে ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে কাউন্সিলর মারজিয়া গত বছরের ২৮ জুলাই ওই মেয়ে এবং তাঁর মাকে বাড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ মা-মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে মারজিয়া হাসান এবং পরে তুফান সরকারসহ সহযোগীদের আটক করে।

এ ঘটনায় পৃথক দুই মামলায় তুফান সরকার, মারজিয়া হাসানসহ আটজন কারাগারে রয়েছেন।