বিপুল আয়োজন, বর্ণিল শোভাযাত্রা

বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের উৎসবে শোভাযাত্রা। গতকাল তোপখানা রোডে।  ছবি: প্রথম আলো
বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের উৎসবে শোভাযাত্রা। গতকাল তোপখানা রোডে। ছবি: প্রথম আলো
>
  • উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার স্বীকৃতি।
  • স্বীকৃতির উদ্‌যাপন শুরু হয়েছে ২০ মার্চ।
  • চলবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত।
  • উদ্‌যাপনের স্লোগান ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’।

আলোর রোশনাই, মনোরম আতশবাজি, নাচ-গান আর রঙিন শোভাযাত্রা—সব মিলিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি উদ্‌যাপন করল সরকার। পূর্ব ঘোষণা ও প্রস্তুতি অনুযায়ী প্রায় দিনভর সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসন, স্বায়ত্তশাসিত কিংবা আধা সরকারি—সব প্রতিষ্ঠানই এই আয়োজনে শামিল হয়।

নানা আয়োজনে এই উদ্‌যাপন চলবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ স্লোগানে ২০ মার্চ থেকে সারা দেশে এই স্বীকৃতির উদ্‌যাপন শুরু হয়েছে। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও গতকাল বৃহস্পতিবার বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছিল শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান।

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হওয়ার যোগ্যতা অর্জনের নির্ধারিত শর্ত পূরণ করায় সম্প্রতি জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) এ ঘোষণাসংক্রান্ত চিঠি বাংলাদেশকে দিয়েছে। চূড়ান্তভাবে এই যোগ্যতা অর্জন করতে আরও ছয় বছর উন্নতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। এরপর ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি মিলবে।

গতকাল সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সরকারিভাবে উদ্‌যাপন অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে এ অর্জনের জন্য ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানান আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানেরা। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

বাসস জানায়, অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের গ্র্যাজুয়েশন প্রাপ্তিকে জনগণের অর্জন উল্লেখ করে এ উন্নয়ন-সাফল্যকে ধরে রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

সন্ধ্যা সাতটা থেকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হয় উদ্‌যাপনের দ্বিতীয় পর্ব। প্রধানমন্ত্রীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে চলে মনোরম আতশবাজি, লেজার শো আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নিয়ে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর দৈনন্দিন রুটিনের বাইরে হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা, শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং তাঁর দুই নাতি। মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সাংসদ, রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতা, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিকসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ আনন্দময় অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা, মমতাজ এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন অনুষ্ঠানে সংগীত ও নৃত্যনাট্য পরিবেশন করে।

এর আগে দুপুর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। বেলা সোয়া একটার দিকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফটকে এমনই একটি বহর বের হতে দেখা যায়। সবার সামনে একটা খোলা ট্রাক। এর মধ্যে পাটখড়ি দিয়ে তৈরি কুঁড়েঘর। ছড়ানো-ছিটানো পাটের আঁশ, বেলুন আর ব্যানারে সজ্জিত পুরো ট্রাক। এর ভেতর একদল বাদক বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছেন। গন্তব্য বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম।

দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ট্রাক ও পিকআপকে বর্ণাঢ্য সাজে সাজিয়ে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিদের শোভাযাত্রায় যেতে দেখা যায়। বাদ্যযন্ত্র, সংগীত আর উন্নয়নের নানা স্লোগানে সজ্জিত এসব শোভাযাত্রা প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাইকোর্ট, বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, মৎস্য ভবন, রমনা পার্ক ও মতিঝিল এলাকায় অবস্থান নেয়। বিকেলের দিকে সব শোভাযাত্রা একযোগে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পথে যাত্রা করে।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা ও সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশপত্রের রেপ্লিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।  ছবি: পিআইডি
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা ও সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশপত্রের রেপ্লিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ছবি: পিআইডি

মঙ্গলবার থেকেই রাজধানী ঢাকার অনেক সরকারি ভবন, সড়কদ্বীপ ও সড়ক বিভাজকে আলোকসজ্জা করা হয়। নানা রঙের বড় বড় বেলুন ওড়ানো হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন চোখে পড়েছে সর্বত্র। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের পক্ষ থেকেও ব্যানার-ফেস্টুন টানানো হয়েছে। এগুলোতে সরকারের উন্নয়নের চিত্র ও প্রশংসাসূচক স্লোগান লেখা ছিল।

মৎস্য ভবন থেকে সচিবালয়

দুপুরের পর থেকেই সচিবালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা খণ্ড খণ্ড শোভাযাত্রা নিয়ে তাঁদের জন্য নির্ধারিত নয়টি স্থানে জমায়েত হতে থাকেন। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলররাও নিজ নিজ এলাকা থেকে শোভাযাত্রা নিয়ে আসেন। উন্নয়নসংক্রান্ত বিভিন্ন স্লোগান লেখা নানা রঙের টি-শার্ট ও মাথার টুপি দৃষ্টি আকর্ষণ করে সবার। শোভাযাত্রায় নৌকাও নিয়ে আসেন কেউ কেউ। ছিল ঘোড়ার গাড়ি, হাতি। অনেকে ভুভুজেলা (বিশেষ বাঁশি) বাজাতে বাজাতে আসেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে এবং নবাব আবদুল গণি রোড দিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ছাড়াও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, র‍্যাব, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, সিভিল ডিফেন্স এবং কারা অধিদপ্তরের শোভাযাত্রা চোখে পড়ে। এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর উদ্যোগে বিশাল আকৃতির জাতীয় পতাকা নিয়ে আসে একদল হিজড়া।

রমনা এলাকা

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার মধ্যেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটশন-সংলগ্ন এলাকায় বাহারি রঙের ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে ১২টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হাজির হন। কেউ কেউ নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রামের মতো দূরদূরান্ত থেকেও এসেছিলেন।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির’ সদস্য আলী আহাদ জানালেন, সকালে চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন তিনি, রাতেই ফিরে যাবেন। ঢাকা ওয়াসার কর্মী মনিরুজ্জামান বললেন, ‘এই উদ্‌যাপন আমাদের কাজের স্পৃহা আরও বাড়িয়ে দেবে।’

মতিঝিল এলাকা

বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে মতিঝিল থেকে শোভাযাত্রা নিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের দিকে যাত্রা শুরু করেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে সরকারি ব্যাংকগুলোর কর্মীরা দাঁড়ান সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের সামনে। বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলো অবস্থান নেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনের অংশে। আর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দাঁড়ায় জনতা ব্যাংক করপোরেট শাখার সামনে। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ভবনের ওপরে স্থাপিত বড় পর্দায় আর্থিক খাতের অগ্রগতিসংক্রান্ত তথ্যচিত্র প্রচার করা হয়।

নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নামাঙ্কিত ভিন্ন ভিন্ন রঙের টি-শার্ট ও টুপি পরা ব্যাংক কর্মীদের প্রায় সবার হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। এর সঙ্গে ঘোড়ার গাড়ি ও ব্যান্ড পার্টির বাজনা যুক্ত হয়ে সেখানে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়।

শোভাযাত্রায় অংশ নিতে আসা প্রাইম ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগে কর্মরত সৌমি ইসলাম বললেন, ‘এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের একটা বড় অর্জন উদ্‌যাপনের সাক্ষী হলাম।’ হাবিব ব্যাংকের মতিঝিল শাখার ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হক বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার বিষয়টি একটা বড় অর্জন।

দেশি-বিদেশি শুভেচ্ছা

সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট তাকেহিকো নাকাও, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (ইউএসএইড) প্রশাসক মার্ক গ্রিন এবং জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওকার ভিডিও বার্তা দেখানো হয় অনুষ্ঠানে।

মন্ত্রিসভার পক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তিন বাহিনীর প্রধানেরা নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এ ছাড়া ১৪ দলের পক্ষে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য-এসডিজিবিষয়ক সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ফুল দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। ক্রীড়াবিদদের পক্ষে ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফুলের তোড়া দেওয়া হয়।

এ ছাড়া বাংলাদেশ পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী, পেশাজীবী, নারী সংগঠন, এনজিও প্রতিনিধি, শিশু প্রতিনিধি, প্রতিবন্ধী প্রতিনিধি, শ্রমজীবী প্রতিনিধি এবং মেধাবী তরুণ সমাজের পক্ষ থেকেও প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনার হাতে জাতিসংঘের দেওয়া উন্নয়নশীল দেশের সুপারিশপত্র তুলে দেন অর্থমন্ত্রী। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম এবং ৭০ টাকা মূল্যের স্মারক নোট উন্মোচন করেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ফটো অ্যালবাম তুলে দেওয়া হয়।