'এখন আমি আ.লীগের হাতেই নিরাপদ নই'

চাঁদপুর শহরে সংবাদ সম্মেলনে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মো. গোলাম হোসেন (বাঁয়ে)। চাঁদপুর, ৩০ মার্চ। ছবি: প্রথম আলো
চাঁদপুর শহরে সংবাদ সম্মেলনে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মো. গোলাম হোসেন (বাঁয়ে)। চাঁদপুর, ৩০ মার্চ। ছবি: প্রথম আলো

‘আওয়ামী লীগ করে এখন আমি আওয়ামী লীগের হাতেই নিরাপদ নই। আমি এবং আমার লোকজন আমার প্রতিপক্ষ চাঁদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও তাঁর লোকজনের বিভিন্ন হামলা ও ষড়যন্ত্রের শিকার। গত এক বছরে তাদের একাধিক হামলায় আমার ৩০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আমার লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় অন্তত ১০টি মিথ্যা মামলা করা হয়।’

কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান মো. গোলাম হোসেন। গতকাল শুক্রবার রাতে চাঁদপুর শহরের এক চায়নিজ রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

আগামী সংসদ নির্বাচনে মো. গোলাম হোসেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী—এ কথা বলেন গোলাম হোসেন। তিনি বলেন, এ জন্য নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে গিয়ে বারবার বাধা ও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন।

গোলাম হোসেন বলেন, ‘আমি আগামীকাল রোববার কচুয়া থেকে পাঁচ হাজার লোক নিয়ে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দেব বলে নানাভাবে আমাকে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টির পাঁয়তারা শুরু করেছে। আমাকে কচুয়া থেকে কোনো বাস, গাড়ি, সিএনজি, এমনকি রিকশা পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে আমি পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা ও লাকসাম থেকে ১৩০টি বাস ও ৩০টি পিকআপ ভাড়া করেছি।’

গোলাম হোসেন জানান, এসব প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির বিষয়ে তিনি গতকালও স্থানীয় পুলিশ সুপার ও কচুয়ার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে লিখিত অভিযোগ ও নিরাপত্তা দাবি করেছেন।

গতকালের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান ওরফে হাতেমসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনের সাংসদ মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে ফোন করলে তিনি ধরেননি। গতকাল এবং আজ শনিবার সকালে ফোন করলেও তিনি ধরেননি। তবে কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক যুবলীগ আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন বলেন, গোলাম হোসেন সাংসদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ, গোলাম হোসেন মনোনয়ন পেতে দলের কিছু লোক ও এলাকার লোকজনকে বিভ্রান্ত করছেন। এতে তিনি কখনোই মনোনয়ন পাবেন না। আর পেলেও কোনো দিন এই আসনে সাংসদ হতে পারবেন না।

এ ব্যাপারে কচুয়া থানার ওসি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, এখানে আওয়ামী লীগ অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা আছে। তবে নিরাপত্তা নিয়ে কারও কোনো সমস্যা নেই।