জালে সাড়ে ৭ মণ ওজনের মাছ!

কেটে বিক্রির আগে মাছটি রং-বেরঙের জরি-ফিতা দিয়ে সাজিয়ে ভ্যানে করে নগরের বিভিন্ন এলাকায় প্রদর্শন করা হয়। ছবি: এম জসীম উদ্দীন
কেটে বিক্রির আগে মাছটি রং-বেরঙের জরি-ফিতা দিয়ে সাজিয়ে ভ্যানে করে নগরের বিভিন্ন এলাকায় প্রদর্শন করা হয়। ছবি: এম জসীম উদ্দীন

মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে সাড়ে ৭ মণ ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ ধরা পড়েছে।

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলাসংলগ্ন মেঘনা নদীতে গত শুক্রবার রাতে মাছটি ধরা পড়ে। আজ রোববার বরিশাল নগরের পোর্ট রোডে এনে মাছটি কেটে ভাগ দিয়ে বিক্রি করা হয়।

বেলা ১১টার দিকে মাছটি কাটা হয়। প্রতি ভাগ মাছ ৫০০ টাকা করে বিক্রি করেন পোর্ট রোডের মাছ ব্যবসায়ী মাসুম ব্যাপারী।

মাছটি কাটার আগে উৎসুক লোকজন নগরের পোর্ট রোডের পাইকারি মাছ বাজারে ভিড় করেন। তার আগে বিশাল আকৃতির মাছটি রং-বেরঙের জরি-ফিতা দিয়ে সাজিয়ে ভ্যানে করে নগরের বিভিন্ন এলাকায় প্রদর্শন করা হয়।

মাছ ব্যবসায়ী মাসুম ব্যাপারী বলেন, মাছটির ওজন প্রায় সাড়ে ৭ মণ। শুক্রবার রাতে চরফ্যাশন উপজেলাসংলগ্ন মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে। কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা করে মাছটি কিনারে তোলেন জেলেরা। গতকাল শনিবার মাছটি বরিশালের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসেন জেলেরা। তাঁদের কাছ থেকে তিনি মাছটি কিনে রাখেন।

মাছটি কত টাকায় কিনেছেন, তা জানাননি মাসুম ব্যাপারী।

বরিশাল জেলা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, এই মাছ দৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ ২০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। মেঘনায় ধরা পড়া মাছটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬০ সেন্টিমিটার। লেজের দৈর্ঘ্য ৮৫ সেন্টিমিটার।

বরিশাল জেলা মৎস্য কার্যালয়ের কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাস প্রথম আলোকে বলেন, মাছটি স্থানীয়ভাবে শাপলাপাতা, হাউস, সানকুস, চিত্রা হাউস প্রভৃতি নামে পরিচিত। এই মাছ মূলত উপকূলীয় অগভীর নদী, হ্রদ, শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল ও কখনো কখনো স্বাদু পানিতে পাওয়া যায়।

বিমল চন্দ্র দাস বলেন, এটি সংকটাপন্ন মাছের তালিকাভুক্ত। এই অঞ্চলে এর আগে কখনো এত বড় আকারের মাছ পাওয়ার তথ্য মেলেনি।