রথীশ চন্দ্রের খোঁজ চেয়ে অনশন

রংপুরে আইনজীবী ও আওয়ামী লীগ নেতা রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের খোঁজ (৫৮) পাঁচ দিনেও মেলেনি। আজ মঙ্গলবারও বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ, মানববন্ধন সমাবেশ ও গণ-অনশন করেছে। পুলিশ সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করলেও কোনো ক্লু পায়নি।
রথীন চন্দ্রের সন্ধান দাবিতে সকাল ১০টা থেকে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদ্যাপন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতীকী গণ-অনশন কর্মসূচি চলছে। জাতীয় শ্রমিক জোট, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গণ-অনশন কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছে। বিকেল চারটা পর্যন্ত অনশন চলবে।
অনশন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘আমাদের যেন আর গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করতে না হয়। আজকের মধ্যে আইনজীবী রথীশ চন্দ্রের সন্ধান না পাওয়া গেলে ভবিষ্যতে ৭২ ঘণ্টার গণ-অনশন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।’
গণ-অনশন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপ্না রানী দাস, রংপুর মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বনমালী পাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমুখ।
এ ছাড়া সকাল ১০টার দিকে আইনজীবী সহকারী সমিতি আদালত চত্বরে ও জাতীয় শ্রমিক লীগ প্রেসক্লাবের সামনে বেলা ১১টার দিকে মানববন্ধন করে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে এখনো ক্লু বের করা সম্ভব হয়নি। তদন্ত চলছে।
রথীশ চন্দ্র জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি ও মাজারের খাদেম হত্যা মামলার সরকারি কৌঁসুলি ছিলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এ টি এম আজহারুল ইসলামের মামলার সাক্ষী ছিলেন তিনি।
রথীশ চন্দ্র বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। তিনি রংপুর জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক। জেলা আইনজীবী সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক বাবু সোনা নামে পরিচিত এই আইনজীবী হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও রংপুর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি।
গত শুক্রবার সকালে শহরের তাজহাট বাবুপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি রথীশ। বাড়ির বাইরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লাল রঙের একটি মোটরসাইকেলে করে তিনি বের হন বলে পরিবার জানায়।