রোববার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। উপাচার্যের বাসভবনের ভেতর ভাঙচুর চলে। বাসভবনের শোয়ার ঘর থেকে বাথরুম, রান্নাঘরসহ সবখানে ভাঙচুর চলে। বাসভবনের সামনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিপুলসংখ্যক পুলিশ নীলক্ষেতের দিক দিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতর প্রবেশ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। সে সময় কলাভবন ও মল চত্বর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এর আগে রাত দেড়টায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সন্ধ্যার পর থেকে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহত আন্দোলনকারীদের মধ্যে যাঁদের পরিচয় জানা গেছে, তাঁরা হলেন আকরাম হোসেন (২৬), আবু বকর সিদ্দিক (২২), মো. রফিক (২৪), রাফি আলামিন (২২), রাজ (২৩), সোহেল (২৫), ওমর ফারুক (২৫), খোরশেদ (২৬), মাহিম (২২), আসলাম (২৩) ও আওলাদ হোসেন (৫০), শাহ পরাণ (২২), অমিত (২৩) রবিন (২২) ও রাসেল (২২)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বাচ্চু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন। তবে কারও অবস্থা গুরুতর নয়।
হাসপাতালে জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. আলাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আহত সবাই আশঙ্কামুক্ত।
এর আগে সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় ও এর আশপাশ এলাকায় অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীদের ওপর একের পর এক কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ । সঙ্গে ছিল পুলিশের জলকামান ও লাঠিপেটা।
মন্তব্য ( ১১ )
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে