মাথায় ব্যান্ডেজ, রক্তাক্ত শরীর

চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত শিক্ষার্থীরা। ছবি: প্রথম আলো
চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত শিক্ষার্থীরা। ছবি: প্রথম আলো

কারও মাথায় ব্যান্ডেজ, কারও শরীর রক্তাক্ত। বন্ধুদের কেউ ছুটছেন খাবারের খোঁজে, কেউ আবার ওষুধ সংগ্রহে ব্যস্ত। এটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) রাত তিনটার চিত্র। ওই সময় পর্যন্ত সেখানে কেবলই আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে।

জরুরি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রথম আলোকে জানানো হয়, সন্ধ্যা থেকে রাত তিনটা পর্যন্ত ১১০ জন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছেন। হলে ফিরতে না পেরে এঁদের বেশির ভাগকেই রাতভর হাসপাতালে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত শিক্ষার্থীরা। ছবি: প্রথম আলো
চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত শিক্ষার্থীরা। ছবি: প্রথম আলো

জরুরি বিভাগ সূত্র জানায়, চিকিৎসা নেওয়া শিক্ষার্থীরা নিজেদের নাম প্রকাশ করছেন না। এ বিষয়ে কয়েকজন আহত শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, যেহেতু চাকরি পাওয়ার জন্য তাঁদের আন্দোলন, তাই নাম প্রকাশ করলে ভবিষ্যতে চাকরি পেতে সমস্যা হতে পারে। সে সময় অনেকেই মামলা এবং গ্রেপ্তারের আশঙ্কা করেন।

সংঘর্ষে আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সালমান জানান, টিএসসি এলাকায় পেছন থেকে কেউ একজন তাঁকে আঘাত করেন। এতে তাঁর মাথা ফেটে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক শিক্ষার্থী জানান, দোয়েল চত্বরে তাঁদের ওপর কয়েকজন বহিরাগত হামলা চালায়। এতে তিনি এবং তাঁর কয়েকজন বন্ধু আহত হন।