৫ মে মহাকাশে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগামী ৫ মে মহাকাশে উড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১। ওই দিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরালে উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের লঞ্চ প্যাড থেকে এটিকে মহাকাশের নির্ধারিত কক্ষপথের উদ্দেশে পাঠানো হবে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের এই তারিখ নিশ্চিত করে গতকাল বুধবার চিঠি দিয়েছে স্পেসএক্স।

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মূল অবকাঠামো তৈরি করেছে ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস। গত ৩০ মার্চ একটি বিশেষ উড়োজাহাজে করে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল লঞ্চ প্যাডে স্যাটেলাইটটি পৌঁছায়। স্পেসএক্সের ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে করে স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠানো হবে।

বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, ফ্যালকন-৯ রকেটে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের জন্য এখন শেষ মুহূর্তের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার অর্ধেকের বেশি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

স্যাটেলাইট ওড়ানোর কাজটি বিদেশে হলেও এটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে বাংলাদেশ থেকেই। এ জন্য গাজীপুরের জয়দেবপুরে গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন (ভূমি থেকে নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা) তৈরি করা হয়েছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্লোরিডায় উৎক্ষেপণ কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হবেন। আর ক্যাপ ক্যানাভেরালে থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৯০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে দেওয়া হচ্ছে ১ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা। আর ঋণ হিসেবে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি দিচ্ছে বাকি ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির জন্য রাখা হবে। সফলভাবে মহাকাশে গেলে বিশ্বের ৫৭ তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হবে বাংলাদেশ। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের অবস্থান হবে ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে।