গণশৌচাগারে স্বস্তি, ব্যবহার নিয়ে শঙ্কা
দুই পাশে ৫৩টি ঝুপড়িঘরে ছিন্নমূল মানুষের বাস। মাঝখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত গণশৌচাগার। দুই মাস আগে এটি নির্মিত। উদ্বোধন হয়নি বলে এখনো ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত হয়নি।
খিলগাঁও কমিউনিটি সেন্টারের পূর্ব পাশে ফুটপাতের ওপর এটি নির্মাণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) আরেকটি গণশৌচাগার তারা করছে খিলগাঁওয়ের জোড়পুকুর মাঠের কাছে।
শৌচাগারটি আশপাশের ছিন্নমূল মানুষদের আশাবাদী করেছে। তাঁদের ভাষায় ‘দুশ্চিন্তা দূর হয়েছে’। শারমিন নামের এক নারী বলেন, ‘ঝুপড়িঘরের বাইরে এক কোণে প্রস্রাবের ঘর বানাইয়া নিছি। কিন্তু বাকি কাজ এখানে-সেখানে গিয়ে সারতে অনেক কষ্ট হয়। এইটা খুললে আমাদের কষ্ট দূর হইব। কিন্তু শুনছি, টাকা দিয়া এটা ব্যবহার করতে হইব।’
তিন-চার দিন হলো এই শৌচাগারের সামনে একটি ছোট দোকান দিয়ে বসেছেন মো. নূরুন্নবী। তিনি বলেন, বেশ কয়েক দিন আগে এর কাজ শেষ হয়েছে। তবে এখনো খোলেনি। পথ চলতে অনেকেই আসেন। কিন্তু বন্ধ দেখে ফিরে যান।
তবে টাকা দিয়ে কতজন ছিন্নমূল মানুষ এই গণশৌচাগার ব্যবহার করতে পারবে, তা নিয়ে তাদের মধ্যে শঙ্কা আছে। পাশের ঝুপড়িঘরের খালেদা বেগম বলেন, ‘শুনছি সবাই বাথরুম ব্যবহার করতে পারব। তবে প্রতিবার ১০ টাকা করে লাগব। প্রতিদিন এত টাকা কেমনে দিমু।’
ডিএসসিসি অঞ্চল-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী হানিফ পাটোয়ারী বলেন, কমিউনিটি সেন্টারসংলগ্ন শৌচাগারটির কাজ শেষ হয়েছে। উদ্বোধন হয়ে গেলে সবাই ব্যবহার করতে পারবে। তিনি বলেন, শৌচাগার ব্যবহার করতে কত টাকা লাগবে, তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। অবশ্য ডিএসসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শৌচাগার ব্যবহারের ফির ক্ষেত্রে বস্তিবাসীর জন্য যাতে ছাড় থাকে, আমরা সে প্রস্তাব করব।’