মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

আ ক ম মোজাম্মেল হক। ফাইল ছবি
আ ক ম মোজাম্মেল হক। ফাইল ছবি

কোটা বাতিল করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে যে ঘোষণা দিয়েছেন, তাতে মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন শেষে এক সমাবেশে এ কথা বলেন মন্ত্রী। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও জেলা প্রশাসন এই সমাবেশের আয়োজন করে। 

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে কথা বলেছেন মহান জাতীয় সংসদে, সে ব্যাপারে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। সবাই ধরে নিয়েছেন যে মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির ব্যাপারে আগের যে বাধ্যবাধকতা ছিল কোটা সংরক্ষণের সময়, এখন সেটা থাকবে না। আমাদের সন্তানেরা যে অধিকার পেয়ে আসছিল, তা থেকে বঞ্চিত হবেন।’

মন্ত্রী উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্বস্ত করে এ সময় বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সফরে বিদেশে আছেন। তিনি বিদেশ থেকে আসার পর আমাদের কথা হবে।’

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব যে আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের একটি মহাসমাবেশ করতে চাই। সেখানে তিনি উপস্থিত থেকে ওনার কী চিন্তাভাবনা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রজন্ম সম্পর্কে, ভবিষ্যৎ বংশধর সম্পর্কে, তা শুনব।’

মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন সুবিধা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আশা করি, জুলাই থেকে সম্মানজনক হারে ভাতা বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে দুটি বোনাস পাচ্ছি। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ও পয়লা বৈশাখে আরও তিনটি বোনাস পাব।’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ‘সাংবিধানিক নিয়মেই এ দেশে নির্বাচন হবে। কারও কোনো মামাবাড়ির আবদারে কোনো কিছু হবে না। আমাদের সংবিধানে যে কথা লেখা আছে, সেই নিয়মেই ভোট হবে।’

জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার। তিনি বলেন, ‘এ দেশে এখনো অনেক খোন্দকার মোশতাক তৈরি হচ্ছে। আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ইউনিট কমান্ডার নুরুল ইসলাম ও আবু হোসেন বক্তব্য দেন। এ সময় চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী, জেলা পরিষদের সচিব নুরজাহান খানম ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ উপস্থিত ছিলেন।