স্যার জন উইলসন স্কুলের ৭১ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা

অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের ফটোসেশন। স্যার জন উইলসন স্কুল, বাড্ডা, ঢাকা। ছবি: প্রথম আলো
অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের ফটোসেশন। স্যার জন উইলসন স্কুল, বাড্ডা, ঢাকা। ছবি: প্রথম আলো

ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয় স্যার জন উইলসন স্কুলের ৭১ শিক্ষার্থীকে আজ শনিবার সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। তারা ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শেষ করে ও-লেভেল এবং এ-লেভেল পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা দেশ গড়ার প্রত্যয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করেন।

রাজধানীর সাতারকুলে বিদ্যালয়টির স্কুলের নিজস্ব ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় এই গ্র্যাজুয়েশন সেরেমনি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিদ্যালয়টির ভাইস প্রিন্সিপাল ফারহানা খান শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ‘সব সময় বিনয়ী থাকবে। এই পৃথিবীর তোমাদের মতো তরুণ প্রজন্মের দরকার আছে। সব সময় অন্যকে উৎসাহ দেবে। তবে জীবনে হোঁচট খেলে কখনো ভয় পেও না। এই অনুষ্ঠানের মানে হচ্ছে তোমরা তোমাদের প্রতিভাকে কাজে লাগাবে এবং যে জ্ঞান তোমরা অর্জন করলে, তা পৃথিবীর অবদানে কাজে লাগাবে।’

এক শিক্ষার্থীর হাতে স্কুল পাসের সনদ তুলে দেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। স্যার জন উইলসন স্কুল, বাড্ডা, ঢাকা। ছবি: প্রথম আলো
এক শিক্ষার্থীর হাতে স্কুল পাসের সনদ তুলে দেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। স্যার জন উইলসন স্কুল, বাড্ডা, ঢাকা। ছবি: প্রথম আলো

এরপর বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী সাদমান খান বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে সবাইকে শোনান। অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের নাচগানের পরিবেশনা। উপস্থাপনা। এর ফাঁকে ফাঁকে অতিথিরা বক্তব্য দেন। বিদ্যালয়টির পরিচালক নাসরিন সুবহান বলেন, ‘আজ তোমাদের জন্য একটি বিশেষ দিন। তোমরাই বৈশ্বিক নাগরিক।’

এরপরই বিদ্যালয়টির পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সামা জাহের ‘পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়’ গানটি গেয়ে শোনায়। গানের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে চার কৃতী শিক্ষার্থী বক্তব্য দেয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ তরুণদের বাংলাদেশ। তরুণেরা দেখিয়ে দিচ্ছে সবকিছুই সম্ভব। জীবনের সকল ব্যর্থতা-সফলতার অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বারবার বলি, গভীর ভালোবাসা আর বিশ্বাস নিয়ে বলি, বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে।’

অনুষ্ঠানের ফাঁকে শিক্ষক, অতিথি ও শিক্ষার্থী—সবাই মিলে কেক কাটে। স্যার জন উইলসন স্কুল, বাড্ডা, ঢাকা। ছবি: প্রথম আলো
অনুষ্ঠানের ফাঁকে শিক্ষক, অতিথি ও শিক্ষার্থী—সবাই মিলে কেক কাটে। স্যার জন উইলসন স্কুল, বাড্ডা, ঢাকা। ছবি: প্রথম আলো

পড়ালেখায় শিক্ষার্থীদের অর্জন ও ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সেটাই সব নয়। মনের দরজা খোলা রাখা চাই। দেশের আর বিশ্বের যা কিছু ভালো, যা কিছু সৃজনশীল-কবিতা-সাহিত্য-চিত্রকলা-সংগীত-নাটক-সিনেমা এবং জীবন থেকে প্রেরণা নিতে হবে। স্বপ্ন দেখতে হবে। নিজের স্বপ্নকে বহু মানুষের স্বপ্নে রূপান্তর করতে হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বিভিন্ন পরামর্শ দেন।

১৯৯৫ সালে স্যার জন উইলসন স্কুলটি গুলশানে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৬ সালে এটি বাড্ডার সাতারকুলে কেনা জমিতে স্থায়ী ভবনে যায়। অনুষ্ঠানে স্যার জন উইলসন স্কুলের প্রিন্সিপাল সাবরিনা শাহেদ, চেয়ারম্যান এ জেড চৌধুরী বক্তব্য দেন।

শিক্ষার্থীদের দলীয় সংগীত, নাচ পরিবেশনা এবং আনুষ্ঠানিক ছবি তোলার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।