সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় পুলিশের সঙ্গে কথিত 'বন্দুকযুদ্ধে' ধর্ষণ মামলার আসামি নিহত

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে ধর্ষণ মামলার এক আসামি’ নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম সোহাগ হোসেন (২৪)। তিনি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। নিহত সোহাগের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলা আছে।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, গতকাল বিকেলে কেড়াগাছি ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন একই গ্রামের সামছুর সরদারের ছেলে সোহাগ হোসেন। এ ঘটনায় শিশুটির নানি বাদী হয়ে সোহাগ হোসেনের বিরুদ্ধে গতকাল থানায় একটি মামলা করেন।

ওসি বিপ্লব কুমার নাথ জানান, সোহাগ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন চন্দনপুরের হিজলদি গ্রামে আছেন বলে তাঁরা জানতে পারেন। এ সংবাদের ভিত্তিতে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোলায়মান আক্তারের নেতৃত্বে পুলিশ সোহাগকে গ্রেপ্তার করতে ওই এলাকায় যায়। এ সময় হিজলদি মাঠের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন দুর্বৃত্ত পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও ইটের টুকরো ছোড়ে। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে কয়েকটি গুলি ছোড়ে। এভাবে ১৫ থকে ২০ মিনিট গুলিবিনিময়ের পর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে দ্রুত কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় লোকজন নিহত যুবককে সোহাগ হোসেন বলে শনাক্ত করেন। সোহাগের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটারগান ও একটি গুলি পাওয়া যায়।

কেড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এস এম আফজাল হোসেন জানান, নিহত সোহাগ চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিহত ব্যক্তির একজন আত্মীয় জানান, সোহাগকে পুলিশ গতকাল সন্ধ্যায় বোয়ালিয়া এলাকা থেকে আটক করে। আজ সকালে তিনি শোনেন, পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হয়েছেন।

ওসি জানান, নিহত ব্যক্তির লাশ সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এসআই সোলায়মান আক্তার বাদী হয়ে একটি অস্ত্র আইনে ও একটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা করেছেন। অস্ত্র আইনে নিহত সোহাগকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলায় সোহাগসহ অজ্ঞাত চার থেকে পাঁচজনের নামে মামলা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, দুর্বৃত্তদের গুলি ও ইটের আঘাতে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাবিবুর রহমান ও সাগর আলী সামন্য আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।