পজিটিভ দিক দেখছি বলেই তারেককে ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনা: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: প্রথম আলো
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: প্রথম আলো

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে আনতে আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফিরিয়ে আনতে যাদের সঙ্গে যে ধরনের আলোচনার প্রয়োজন, সেই আলোচনাই চলছে।

আজ রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

তারেককে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাপারে পজিটিভ দিক দেখছি বলেই আলোচনা চলছে। ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত এটা ফলপ্রসূ হচ্ছে কি না, সেটা কিন্তু আমি বলব না।’

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে দুই দফায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান।

অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনারোধে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৭ সংশোধনীর প্রস্তাব সংসদের আগামী বাজেট অধিবেশনে উত্থাপনে প্রস্তুতি রয়েছে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৭ খসড়া অনুমোদন হওয়ার পরে এটা এখন তিনটি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলাপ–আলোচনায় আছে। তিনি বলেন, যেহেতু এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন, সেহেতু আমরা এ আইনটি নিয়ে সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করছি। তিনি বলেন, লাইসেন্সবিহীন চালকদের শাস্তির বিষয়টি ফোকাস হয়নি, এটা ঢালাওভাবে বলা যাবে না; তার কারণ সরকার চেষ্টা করছে সড়ক পরিবহনে এ টু জেড সবকিছু দেখছে। বিষয়টি হচ্ছে দুর্ঘটনা হলে কী হবে। দুর্ঘটনা যাতে না হয়, সে জন্য তিন–চারটি জিনিস দেখতে হয়। চালকদের প্রশিক্ষণ, লাইসেন্স প্রাপ্তি ও গাড়ির ফিটনেসের বিষয় এবং তারপরের বিষয় হচ্ছে রাস্তা। সেসব দিক দেখে এটাকে একটি পরিপূর্ণ আইন করার জন্য সময় লাগছে। এমন না যে এখন কোনো আইন নেই। যুগোপযোগী আইন করতে একটু সময় লাগছে।

আইনমন্ত্রী জানান, সড়ক পরিবহনের সঙ্গে জড়িত যা কিছু আছে সবকিছুকে কিন্তু এই আইনের মাধ্যমে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে, এতে আমি অত্যন্ত ব্যথিত ও দুঃখিত। আমি শুধু এটাই বলব, এগুলোর মামলা যখন আদালতে আসবে, তখন অতন্তপক্ষে এটুকু নিশ্চিত করব শাস্তির মাধ্যমে যাতে সতর্কতা বৃদ্ধি হয়।’ যে শাস্তি দেওয়া হবে, চালক–মালিকেরা যাতে বুঝতে পারে, এ রকম অপরাধ করে পার পাওয়া যাবে না। এমন অপরাধ করলে বিচার বিভাগ যথার্থ সাজা তাদের দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মুসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইনসচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক।