ঘুষের পাঁচ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী নাজমুল হককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক

নৌপরিবহনের প্রধান প্রকৌশলী নাজমুলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
নৌপরিবহনের প্রধান প্রকৌশলী নাজমুলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ঘুষের পাঁচ লাখ টাকাসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাতে গ্রেপ্তার হওয়া নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এস এম নাজমুল হককে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সংস্থাটি। আজ রোববার বেলা দুইটা থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

দুদক সূত্র জানায়, ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁকে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাঁকে আনা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদের নেতৃত্বে একটি দল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নাজমুল হককে রমনা থানার হেফাজতে রাখা হয়। সেখান থেকে তাঁকে আগামীকাল সোমবার সকালে আবার কারাগারে পাঠানো হবে।

১২ এপ্রিল রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি রেস্তোরাঁ থেকে ঘুষের পাঁচ লাখ টাকাসহ ‘নাজমুলকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার’ করে দুদক। এরপর ১৩ এপ্রিল শাহবাগ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করে সংস্থাটি। পরে ১৫ এপ্রিল তাঁকে বরখাস্ত করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।

১৯ এপ্রিল দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আদালত সূত্রে জানা গেছে, নাজমুলকে আদালতে হাজির করে দুদক সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছিল। ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্যই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ জরুরি বলে দুদক রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করে। ঢাকার মহানগর হাকিম মো. ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরী শুনানি শেষে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সূত্র জানায়, সৈয়দ শিপিং লাইন নামের একটি শিপিং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে সব আইনগত প্রক্রিয়া শেষে ফাঁদ পাতে দুদক। পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীকে রেস্তোরাঁয় আসার কথা বলেন প্রধান প্রকৌশলী। সেখানে আগে থেকেই ওত পেতে ছিল দুদকের দলটি। ঘুষ নেওয়ার পরপরই দুদকের দলটি তাঁকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে।

সৈয়দ শিপিং লাইনের জাহাজের রিসিভ নকশা অনুমোদন ও নতুন জাহাজের নামকরণের অনুমোদনের জন্য ১৫ লাখ টাকা ঘুষ চান নাজমুল। এর মধ্য থেকে পাঁচ লাখ টাকা আগেই নিয়েছিলেন।

এ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। দুদক তাঁর বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ অনুসন্ধান করছে।