এক ঘড়ির ওজন তিন কেজি!

চীন থেকে আমদানি করা এক হাজার ঘড়ির নিট ওজন ৩ হাজার ১১৫ কেজি। সে হিসেবে প্রতিটি ঘড়ির ওজন প্রায় তিন কেজি। আর একটি ঘড়ির দাম পড়েছে ৬০ টাকা। শুল্ক মূল্যায়ন ও অডিটের (সিভিএ) একটি দল একজন আমদানিকারকের নথি নিরীক্ষা করে শুল্কায়নের এমন অস্বাভাবিক অনিয়ম বের করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরার আশকোনায় একটি প্রতিষ্ঠানে এমন শুল্ক জালিয়াতির বিষয়টি উদ্‌ঘাটন করা হয়। শুল্ক মূল্যায়ন ও অডিটের (সিভিএ) কমিশনার মইনুল খান প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

নিরীক্ষার তথ্যানুসারে প্রতিষ্ঠানটি উত্তরা ব্যাংকের ইংলিশ রোড শাখার মাধ্যমে রকমারি পণ্য (এসোর্টেড গুডস) হিসেবে ঋণপত্র (এলসি) খোলেন। আমদানিকারক ঢাকা কাস্টম হাউসে একটি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে পণ্য চালানটি শুল্কায়ন শেষে খালাস করেন। ওই বিল অব এন্ট্রিতে ৪৪টি আইটেমের মোট ৮ হাজার ৮৬৯ কেজি ওজন ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘড়ির ওজন দেখানো হয় ৩ হাজার ৩১৫ কেজি।

নিরীক্ষায় আরও বেশ কয়েকটি শুল্ক জালিয়াতি উদ্‌ঘাটিত হয় বলে জানান মইনুল খান। দেখা গেছে, কাস্টম হাউসের অনলাইন সিস্টেমে এক হাজার পিস ঘড়ি খালাসের শুল্কায়ন হলেও ব্যাংকের মূল দলিলে ঘড়ির বর্ণনা নেই। এ কারণে আসলে কী পণ্য খালাস হয়েছে, তা নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আরও অনুসন্ধান চলছে।
১০৭ কেজি ইমিটেশন জুয়েলারির প্রতি কেজি মূল্যে শুল্কায়ন করা হয় ৫ ডলার ৭৫ সেন্ট। কিন্তু বিদ্যমান শুল্ক হার অনুসারে এটা প্রতি কেজি আট ডলার। আমদানিকারক পণ্যের মূল্য হিসেবে এই ঋণপত্রের মাধ্যমে ২৪ হাজার মার্কিন ডলার বিদেশে পাঠিয়েছেন। কিন্তু কাস্টম হাউসের সিস্টেমে পণ্যের দাম দেখানো হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ২৪ মার্কিন ডলার। এ বিষয়ে আরও অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন মইনুল খান।