রাজশাহীতে পাওয়া শিশুটির লাশে আঘাতের চিহ্ন ছিল

শিশুটির বয়স সাড়ে তিন বছর। বাড়ির সামনে খেলছিল। সেখান থেকে নিখোঁজ হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে। তার সন্ধান চেয়ে সারা দিন মাইকিং করা হয়। রাত ১২টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে খড়ের ভেতরে একটি পুঁটলিতে পাওয়া যায় তার লাশ। তার পা বাঁধা ছিল। মাথায় রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা বাইপাস গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ শুক্রবার সকালে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে।

নিহত শিশুর নাম তামিম হোসেন। সে মাটিকাটা বাইপাস গ্রামের রাসেল হোসেনের ছেলে। রাসেল পেশায় নির্মাণশ্রমিক।

গোদাগাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক আলতাফ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শিশু তামিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর এলাকায় মাইকিং করা হয়। দিনে ছেলের সন্ধান না পেয়ে রাতে শিশুটির বাবা থানায় তামিমের নিখোঁজের বিষয়টি অবহিত করেন। এরপর রাত ১২টার পরে তার বাড়ির সামনে দুর্বৃত্তরা শিশুটির লাশ ফেলে রেখে যায়।

রাসেল জানান, তাঁর বোন প্রথমে বাড়ির বাইরে খড়ের মধ্যে একটি পুঁটলি দেখতে পান। পুঁটলি খুলতেই বেরিয়ে আসে ছেলের লাশ। গাছের ছাল দিয়ে পা বাঁধা আর প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে গলা প্যাঁচানো ছিল। মাথায় ছিল আঘাতের চিহ্ন। রাসেল বলেন, কারও সঙ্গে তাঁর বিরোধ নেই। তবে জমিজমা নিয়ে মাঝে-মধ্যে প্রতিবেশী কয়েকজনের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে। কে বা কারা তাঁর একমাত্র সন্তানকে হত্যা করেছে, তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না।

পুলিশ পরিদর্শক আলতাফ হোসেন বলেন, এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত লোকজনকে ধরতে তাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন। এ নিয়ে প্রতিবেশীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।