নওগাঁয় ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, কিশোরের মৃত্যু

পা হারানো কিশোর নিলয়কে প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকেরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। ছবি: সংগৃহীত
পা হারানো কিশোর নিলয়কে প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকেরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। ছবি: সংগৃহীত

সড়ক দুর্ঘটনায় নওগাঁয় পা হারানো কিশোর নিলয় (১৫) মারা গেছে। পা হারানোর প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। আজ শুক্রবার বিকেলে শহরের ফতেপুর এলাকায় বাইপাস সড়কে ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে পা হারায় নিলয়।

নিলয়ের বাবা আফতাব মোল্লা জানান, রাতে সাড়ে নয়টার দিকে নিলয় মারা যায়।

নিলয়দের বাড়ি নওগাঁ শহরের মাস্টারপাড়া এলাকায়। ওই দুর্ঘটনায় নিলয়ের বন্ধু রাকিব হোসেন (১৫) ও সাদমান (১৬) আহত হয়। তারা তিনজনই নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ বিকেলে নিলয় তার দুই বন্ধুকে মোটরসাইকেলে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে শহরের বাইপাস ব্রিজ এলাকা থেকে সান্তাহার যাওয়ার পথে ফতেপুর এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ইঞ্জিনচালিত একটি ভটভটি মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে দুই বন্ধুসহ নিলয় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য নিলয়কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। রাকিব ও সাদমান নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নওগাঁ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মুনীর আলী আকন্দ জানান, নিলয়ের ডান পা হাঁটুর নিচু থেকে আলাদা হয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে রাজশাহীতে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

নওগাঁ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই তিন কিশোর বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল। বিপরীত দিক থেকে আসা ভটভটিও দ্রুতগতিতে আসছিল। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

সম্প্রতি রাজধানীর সড়কে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর শিকার হয়ে হাত হারানোর কয়েক দিন পর মারা যান কলেজছাত্র রাজীব। এরপর বাসচাপায় পা হারিয়ে চিরবিদায় নেন রোজিনা।