স্ত্রীসহ পুলিশ কর্মকর্তা হত্যায় খালাস পেল গৃহকর্মী

পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী হত্যা মামলায় খালাস পেয়েছে গৃহকর্মী।
পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী হত্যা মামলায় খালাস পেয়েছে গৃহকর্মী।

পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী হত্যা মামলায় খালাস পেয়েছে গৃহকর্মী। আজ রোববার ঢাকার শিশু আদালতের বিচারক আল মামুন খালাসের এই রায় দেন।

রায় ঘোষণার পর ওই গৃহকর্মীর আইনজীবী মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে সে ন্যায়বিচার পেয়েছে। এ মামলায় গৃহকর্মীর বিচার হয়েছে শিশু আইনে। তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে বিচার শুরু হয়। আজ সেই অভিযোগ থেকে নির্দোষ প্রমাণিত হলো সে।

রায় ঘোষণার সময় ওই গৃহকর্মী আদালতে উপস্থিত ছিল। খালাসের রায় শুনে সে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে। সে জানায়, আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছে। সে যে নির্দোষ ছিল, তা আদালতের রায়ের মাধ্যমে আজ প্রমাণিত হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পাওয়ার পর আপিলের বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখবেন।

ওই গৃহকর্মী বর্তমানে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হেফাজতে আছে। ২০১৪ সালে ২০ মে থেকে ওই হত্যা মামলায় জামিনে ছিল সে।

আদালতে ওই গৃহকর্মীকে আজ নিয়ে আসেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মাঠকর্মী শাসসুন্নাহার। খালাসের রায় শোনার পর শামসুন্নাহার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সে এখন আমাদের হেফাজতে আছে। সে ভালো আছে।’

২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট মালিবাগের বাসা থেকে পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন মাহফুজের ভাই মশিউর রহমান এ ঘটনায় পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই দিনই পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করেন নিহত দম্পতির মেয়ে ঐশী রহমান ও গৃহকর্মী। ওই মামলায় ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রায় দেন। রায়ে ঐশীকে মৃত্যুদণ্ড ও তাঁর বন্ধু মিজানুর রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে নিম্ন আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে ঐশীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট।