নির্বাচন স্থগিতাদেশে ভোটার-প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা

বেলা পৌনে তিনটার দিকে খবর এল গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এই খবরে হঠাৎ করেই থেমে গেল গাজীপুরবাসী। সবার মধ্যে হতাশা আর প্রশ্ন, যাঁরা লাখ লাখ টাকা মাঠে খরচ করে ফেলেছেন, তাঁদের কী হবে?

অন্যদিনের মতোই আজ রোববার সকাল থেকেই মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্বাচনের প্রতীক নিয়ে বেড়িয়ে যান ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। কেউ পথসভা দিয়ে শুরু করেন কেউ বা উঠান বৈঠক দিয়ে প্রচার শুরু করেন। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম রোববার সকালে ম্যাট্রিক্স সোয়েটার করখানায় পোশাকমালিকদের সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, এফবিসিসিআই ও বিকেএমইএর নেতারা উপস্থিত থেকে তাঁকে সমর্থন দেন। পরে সেখান থেকে তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকায় কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকদের কাছে ভোট চাইতে যান।

একই সময়ে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার তাঁর নিজ বাড়িতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ ছাড়া টঙ্গীর কয়েকটি ওয়ার্ডে নির্বাচনের প্রচারে যান।

ঠিক বেলা পৌনে তিনটার দিকে বিভিন্ন অনলাইন ও টেলিভিশনে খবর প্রচার হয় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এই খবরে পুরো গাজীপুরে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। পুরো গাজীপুর শহর ও নগরের বাসিন্দাদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশ থেমে যায়। সবার মধ্যে দেখা দেয় হতাশা।

হাইকোর্টে মামলা করেন শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম সরুজ। জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাজীপুরের ছয়টি মৌজার আংশিক শিমুলিয়া ইউনিয়নের মধ্যে পড়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের ভোটে তিনি দুবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এলাকার সীমানা রক্ষা করতে নিরুপায় হয়ে মামলাটি করা হয়েছে।

গাজীপুর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, সীমানা নিয়ে যে জটিলতা ছিল, সেগুলো মীমাংসা করার পরই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে।

মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তিনি বিস্তারিত জানতে ঢাকায় যাচ্ছেন। তবে নির্বাচন স্থগিত করায় প্রার্থীরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

গাজীপুরের সীমান্তবর্তী পশ্চিম পানিশাইল গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন জানান, ‘আমরা কখনোই শিমুলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলাম না। কিন্তু ওই চেয়ারম্যান আমাদের জোর করেই তাঁর এলাকার বাসিন্দা করতে চাচ্ছেন। আমরা গ্রামবাসী প্রয়োজনে আন্দোলনে যাব, তবে সাভার উপজেলায় যাব না।