খাগড়াছড়িতে সোম-মঙ্গলবারের হরতাল প্রত্যাহার

খাগড়াছড়িতে হরতালের সমর্থনে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করে পিকেটাররা। ছবি: প্রথম আলো
খাগড়াছড়িতে হরতালের সমর্থনে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করে পিকেটাররা। ছবি: প্রথম আলো

খাগড়াছড়িতে মাইক্রোবাসচালক মো. সজীব হাওলাদারের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার এবং অপহৃত তিনজনকে উদ্ধারের দাবিতে আগামী দুই দিনের (সোমবার ও মঙ্গলবার) হরতাল স্থগিত করা হয়েছে। পার্বত্য অধিকার ফোরাম ও বৃহত্তর পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ এ হরতালের ডাক দেয়। আজ রোববার বিকেলে কেন্দ্রীয় সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. পারভেজ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ হরতাল স্থগিতের কথা জানান।

স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বাঙালি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি মাঈন উদ্দিন বলেন, অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধার ও হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস পাওয়ার কারণে আজ ও আগামীকালের হরতাল স্থগিত করা হয়েছে।

আজ রোববার হরতালের কারণে সকাল থেকে জেলার দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। খোলেনি দোকানপাট। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসগুলো পুলিশি প্রহরায় শহরে প্রবেশ করানো হয়েছে। হরতালের কারণে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও কর্মজীবী লোকজনকে হেঁটে গন্তব্যস্থলে যেতে দেখা গেছে। সকালে হরতালের সমর্থকেরা সদর উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ ছাড়া শহরের কলেজ গেট, চেঙ্গী স্কোয়ার, জিয়া স্কোয়ার, নারকেলবাগান, টার্মিনালসহ বেশ কয়েকটি সড়কে টায়ার ও আগুন জ্বালিয়ে পিকেটিং করতে দেখা গেছে। জেলাজুড়ে নেমে এসেছিল স্থবিরতা।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান বলেন, হরতালের কারণে জেলায় কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দুর্ঘটনা এড়াতে জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

রাঙামাটির নানিয়ারচরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে গত শুক্রবার সকালে একই উপজেলার বেতছড়ি এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে পাঁচজন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে মাইক্রোবাসচালক মো. সজীবও ছিলেন।

গত ১৬ এপ্রিল খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙা উপজেলার তিন বাসিন্দা কাঠ ব্যবসায়ী মো. সালাউদ্দীন, মহরম আলী ও গাড়িচালক মো. বাহার মিয়া জেলার মহালছড়ির মাইসছড়ি থেকে নিখোঁজ হন। ১৯ দিন অতিবাহিত হলেও তাঁদের উদ্ধার করতে পারেনি প্রশাসন।

অপহরণের পরের দিন মো. সালাউদ্দিনের বাবা মো. খুরশেদ আলম মাটিরাঙা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।