রাসেলের পরিবার চায় হত্যাচেষ্টা মামলা, পুলিশ বলছে অন্য কথা

দুর্ঘটনার পর রাসেল সরকার। ছবি: সংগৃহীত
দুর্ঘটনার পর রাসেল সরকার। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে গ্রিন লাইন বাসের চাপায় পা হারানো রাসেল সরকারের করা মামলার ধারা এখনো বদলায়নি পুলিশ। দুর্ঘটনার পর রাসেল সরকারের ভাই আরিফ সরকার যাত্রাবাড়ী থানায় একটি দুর্ঘটনার মামলা করেন। কিন্তু পরে হত্যাচেষ্টা মামলা করার দাবি জানায় পরিবার। পুলিশ বলছে, তারা একেক সময় একেক রকমের ভাষ্য পাচ্ছে, তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই মামলার ধারা বদলানো হবে না।

আরিফ সরকার বলছেন, দুর্ঘটনার পর পুলিশের কথা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ওই মামলা করেন। পরে ঘটনা অন্য রকম বলে জানতে পারেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান আজ সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। কিন্তু আমরা এখন নানা ভাষ্য পাচ্ছি। কখনো চালককে দোষী পাচ্ছি, কখনোবা আহত রাসেলের ভুল ছিল—এমন কথা শুনছি। মামলার তদন্ত চলছে। সম্পূর্ণ তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।’

আরিফ সরকার আজ প্রথম আলোকে বলেন, অ্যাপোলো হাসপাতালে কঠিন জীবন পার করছেন রাসেল সরকার। সেখানে গত শনিবার তাঁর দ্বিতীয় অপারেশন হওয়ার পর থেকে বারবার থেমে থেমে চিৎকার করছেন। তিনি জানান, রাসেলের ব্যথা বেড়েছে। তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। গতকাল রোববার সারা রাত রাসেল এক ফোঁটা ঘুমাননি। পাশে থাকা স্ত্রী মিম আক্তার ও বাবা শফিকুল ইসলামও তাঁকে থামাতে পারছেন না। তাঁর অবস্থা চিকিৎসকদেরও অনেকটা হতাশ করেছে বলে জানান আরিফ।

আরিফ বলেন, গ্রিন লাইন বাস কর্তৃপক্ষ একবার খোঁজ নিলেও এখন আর কোনো যোগাযোগ করছে না। ভাইয়ের এখন কী হবে, তা নিয়ে চিন্তিত আরিফ।

দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হৃদয়। ছবি: প্রথম আলো
দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হৃদয়। ছবি: প্রথম আলো


কিছুটা ভালো আছেন হৃদয়: গোপালগঞ্জে ট্রাকে হাত হারানো হৃদয় আগের চেয়ে কিছুটা ভালো আছেন বলে জানালেন তাঁর বাবা রবিউল ইসলাম। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে, হাত হারানোর কষ্ট তীব্র হয়ে উঠছে তাঁর।

রবিউল ইসলাম প্রথম আলোকে তিনি বলেন, আজ হৃদয়কে কেবিন থেকে বার্ন ইউনিটে স্থানান্তরের কথা রয়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, সেখানে তাঁর প্লাস্টিক সার্জারি করা হবে। পরে ঘা শুকিয়ে গেলে কৃত্রিম হাত স্থাপন করা যাবে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে রবিউল বলেন, ‘আমার ছেলেটা কী দোষ করেছিল? আমি এর বিচার ও ক্ষতিপূরণ চাই।’

বর্তমানে সেই ট্রাকচালক জামিনে আছেন উল্লেখ করে রবিউল বলেন, ‘এমন অপরাধ করার পর কীভাবে জামিন পায়, আমার মাথায় আসে না। সরকারের কাছে আমি এর বিচার চাই।’ হৃদয়ের আরও ভালো চিকিৎসার দাবি জানান তিনি।