'ষড়যন্ত্রমূলক নাশকতার' মামলা, আসামি বিএনপি-জামায়াতের ২৫৩ জন

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত ঘোষণার পর এ ঘটনাকে ঘিরে ‘ষড়যন্ত্রমূলক নাশকতার’ অভিযোগে মামলা হয়েছে। আজ সোমবার করা এই মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ২৫৩ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের বাড়ি থেকে গতকাল রোববার আটক ১২ নেতা-কর্মীও আছেন।

মামলার বাদী টঙ্গী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল-আমিন। তিনি এজাহারে ১০৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫০ জনসহ মোট ২৫৩ জনকে আসামি করেছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গতকাল রোববার উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত হয়ে যাওয়া গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক নাশকতা সৃষ্টি করেছিল বিএনপি ও জামায়াতের দুই শতাধিক কর্মী। তাঁরা সিটি করপোরেশনের চেরাগআলীর পাইলট মার্কেটের পাশে স্টার ওভেন রেস্টুরেন্টের সামনের রাস্তায় নাশকতা করেছিলেন। নাশকতার সময় রাস্তায় কিছু গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন তাঁরা। এ সময় সংশ্লিষ্ট এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে আটক করেন। এ সময় বাকিরা দৌড়ে পালিয়ে যান। আটক ব্যক্তিরা হলেন হাজি সামাদ (৬০), ফরিদ আহমেদ (৪০), আ. রশিদ (৫৫), শফিউল্লাহ খান (৫৫), গাজী মোশারফ (৩২), মো. আবদুল্লাহ (৩৩), তৌহিদ মিয়া (৩২), মো. আলাউদ্দিন (৩২), শহিদুল ইসলাম (২৯), সাব্বির আহমেদ (২৮), আজাদ হোসেন (৩০), মাকসুদুর রহমান (৩২)। এজাহারে এই ১২ জনসহ ১০৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ১৫০ জন আসামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরকেও আসামি করা হয়েছে।

বিএনপির দলীয় প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, কোনো ভাঙচুর-রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন স্থগিত নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন শেষ করে নেতা-কর্মীরা ফিরে যাওয়ার পথে তাঁদের আটক করে পুলিশ। সরকার বিএনপিকে ভয় পাচ্ছে। ভয়ের কারণেই নানাভাবে তাঁদের হয়রানির চেষ্টা চলছে।

টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা ষড়যন্ত্র করে নাশকতার চেষ্টা করছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।