সরকার নির্বাচনের ওপর ভরসা করতে পারছে না: ড. কামাল

ড. কামাল হোসেন। ফাইল ছবি
ড. কামাল হোসেন। ফাইল ছবি

গণফোরামের সভাপতি সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সরকার নির্বাচনের ওপর ভরসা করতে পারছে না। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিতই তার প্রমাণ। তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এরা ১০ শতাংশ আসন পাবে না।’

জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ সোমবার বিকেলে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন এ কথা বলেন। ‘সর্বগ্রাসী লুণ্ঠন বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা ধ্বংস করছে’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এরা ১০ শতাংশ আসন পাবে না। নির্বাচন হলে তিন নম্বরি কায়দায় কীভাবে সিংহাসন ধরে রাখা যায়, সে চিন্তা করবেন না। আপনারা এই অপরাধটি করবেন না।’ তিনি বলেন, সরকার নির্বাচনের ওপর ভরসা করতে পারছে না। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত করা তার প্রমাণ। গাজীপুরে সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেল, অথচ নির্বাচন কমিশন কিছুই জানে না।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘ক্ষমতা জোর করে ধরে রাখা একটি গুরুতর অপরাধ। এই ভুল করবেন না।’ সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, এগুলো করবেন না। অনেক দেশে এগুলো করে কেউ পার পায়নি। অনেক সংসদ সদস্য আছেন, যাঁদের সৎভাবে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যে কারণে ১৫৩টি আসনে বিনা ভোটে জয়ের ঘটনা ঘটে।

দেশের টাকা লুটপাটের বিষয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হচ্ছে। কাউকে ধরা হচ্ছে না, কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে না। চার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের ঘটনায়ও কোনো প্রতিক্রিয়া হয়নি।

ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, জনসভা হচ্ছে না কেন? কারণ জনসভা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ সময় তিনি আগামী ঈদের পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার ঘোষণা দেন। সেখানে তিনি সবাইকে নিয়ে একটি জনসভা করার আশা প্রকাশ করেন। এ ছাড়া সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ বছরের মধ্যে প্রতিটি উপজেলা, জেলায় নিজেদের প্রতিনিধি মনোনয়নের বিষয়টি শেষ করার আহ্বান জানান তিনি। এই প্রতিনিধিরা সংসদে সবার প্রতিনিধিত্ব করবেন বলে তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশে ভেজাল গণতন্ত্র আর ধাপ্পাবাজি চলছে। দেশে গণতন্ত্রের চর্চা ফিরিয়ে আনতে হলে ড. কামাল হোসেনের মতো মানুষদের সামনে আনতে হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে বিবেকবান লোকদের নির্বাচিত করতে হবে।

ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মো. মনসুর, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হুদা মিলু চৌধুরী প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিক উল্লাহ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।