মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন কমিশনের দাবি

সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের সুপারিশ নিয়ে কথা বলছেন হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের সদস্যরা। ছবি: প্রথম আলো
সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের সুপারিশ নিয়ে কথা বলছেন হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের সদস্যরা। ছবি: প্রথম আলো

হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন-২০১৩-এর ৫৭ ধারা বাতিল চেয়েছে। তা ছাড়া এ ধরনের ধারাসংবলিত যেকোনো আইন প্রণয়ন থেকে বিরত থাকার কথাও বলছে সংগঠনটি। 

জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ সোমবার সকালে ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে সর্বজনীন পুনর্বীক্ষণ পদ্ধতির (ইউপিআর) আওতায় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
১৪ মে জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর) বা সর্বজনীন পুনর্বীক্ষণ পদ্ধতি হতে যাচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচিত হবে। প্রতি সাড়ে চার বছর পর পর এ পর্যালোচনা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধিদল পর্যালোচনায় নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে। এ ছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন দেশের প্রেক্ষাপট নিয়ে প্রতিবেদন দিয়ে থাকে। হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি) গত মাসে তাদের সুপারিশ প্রতিবেদন জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে তুলে ধরে।
২০টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত এইচআরএফবি তাদের প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরে। সংগঠনের সমন্বয়ক তামান্না হক সুপারিশমালা পড়েন।
নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারবিষয়ক সুপারিশের মধ্যে ৫৭ ধারা বাতিল ছাড়া উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো হলো রাষ্ট্রীয় সংস্থা দ্বারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের তদন্ত ও বিচারে স্বাধীন কমিশন গঠন, নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু-২০১৩ আইনের কার্যকরী প্রয়োগ, গুম ও বলপূর্বক অন্তর্ধানকে চিহ্নিত করার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রাসঙ্গিক আইনের সংস্কার।
যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব স্বীকার করে নেওয়া, পাঠ্যপুস্তকে যৌনশিক্ষার বিষয়বস্তুসহ আরও নানা বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও আছে সুপারিশমালায়।
সংবাদ সম্মেলনে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ও এইচআরএফবির আহ্বায়ক শীপা হাফিজ আইনমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ইউপিআর নিয়ে একটি অ্যাকশন প্ল্যান করতে বলার জন্য। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ যে সুপারিশ প্রদান করবে, বাংলাদেশকে সেটার ওপর এই প্ল্যান তৈরি হবে এবং কিছুদিন পর পর সেটা নিয়ে আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এইচআরএফবির সদস্য রঞ্জন কর্মকার, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন ও সালেহ আহমেদ।