কুষ্টিয়ায় কলেজছাত্রীকে অ্যাসিড ছোড়ায় চারজনের কারাদণ্ড

কুষ্টিয়ায় কলেজছাত্রীসহ পরিবারের তিন সদস্যের ওপর অ্যাসিড ছোড়ার দায়ে এক আসামির ১৪ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আর অ্যাসিড ছোড়ায় সহযোগিতার দায়ে তিন আসামির সাত বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রধান আসামিকে ৫০ হাজার ও বাকি তিনজনের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক অরুপ কুমার গোস্বামী সোমবার দুপুরে এ রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের মাসুদ আলীর ছেলে রাজীব (২২), আশরাফুলের ছেলে রতন (২০), গোপালপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে আল আমীন (২৩) ও আমজাদ মোল্লার ছেলে জহুরুল ইসলাম ওরফে বাবু (২৭)। এর মধ্যে রাজীবের ১৪ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্র জানায়, সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কলেজছাত্রী সোনিয়া কলেজে যাতায়াতের সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে বখাটে রাজীব নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতেন। তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় রাজীব ২০১৪ সালের ৫ জুলাই গভীর রাতে সহযোগীদের নিয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে সিরিঞ্জ ব্যবহার করে ঘুমন্ত সোনিয়ার ওপর অ্যাসিড ছোড়েন। এতে সোনিয়া ও একই বিছানায় ঘুমন্ত ছোট ভাই তিতুমীর ও ফুফু সালেহা অ্যাসিড-দগ্ধ হন।

কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাঁদের এ দণ্ডাদেশ দেন। পরে তাঁদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য চারজন আসামি খালাস পেয়েছেন।