বজ্রপাতে পাঁচ জেলায় নিহত নয়, আহত পাঁচ

বজ্রপাতে আজ সোমবার দেশের পাঁচ জেলায় নয়জনের মৃত্যু ও পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এঁদের মধ্যে শেরপুরে তিন, মৌলভীবাজারে দুই, হবিগঞ্জে দুই, সুনামগঞ্জ ও ময়মনসিংহে একজন মারা যায়। এ নিয়ে আজসহ এক সপ্তাহে অন্তত ৮০ জনের মৃত্যু হলো বজ্রপাতে।

প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

শেরপুরে মৃত্যু হয়েছে মুচারচর গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম (৩২), শ্রীবরদী উপজেলার বকচর গ্রামের কুব্বাত আলী (৬০) ও সদর উপজেলার হালগড়া গ্রামের মো. আবদুর রহিম (৫০)। তাঁদের পরিবার ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত তিন ব্যক্তিই সকালের দিকে নিজ নিজ গ্রামে ধান কাটার কাজ করছিলেন।

মৌলভীবাজারের বজ্রপাতে মৃত্যু হওয়া দুই ব্যক্তি হলেন সদর উপজেলার খলিলপুর গ্রামের আবু সামাদ (১৫) ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার বরুনা গ্রামের মফিজ মিয়া (২৮)। ধানখেতে কাজ করার সময় মারা যায় কিশোর সামাদ। অন্যদিকে শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরে মাছ ধরার সময় মফিজ মিয়া মারা যান। এ সময় তাঁর পাশে থাকা আরও তিন ব্যক্তি আহত হন। আহত ব্যক্তিরা হলেন রশীদ মিয়া (৩৬) ও মো. রফিক মিয়া (৫০) ও নজির মিয়া (৬০)। বজ্রপাতের সময় আহত তিন ব্যক্তি ঘাস কাটছিলেন বলে স্থানীয় চেয়ারম্যান সূত্রে জানা যায়।

হবিগঞ্জে মারা গেছেন বানিয়াচং উজেলার কৃষক অধীর বৈষ্ণব (২৮) ও বাসু বৈষ্ণব (৩০)। এতে আহত হন কৃষ্ণধন বৈষ্ণব (২৮)। সকাল ১০টার দিকে কবিরপুর হাওরে ধান কাটার সময় ওই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় প্রাণ হারায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর শারমিন আক্তার (১৬)। সে উপজেলার কৈচাপুর ইউনিয়নের রুহিপাগারিয়া গ্রামের সোহেল মিয়ার মেয়ে ও নিচপাড়া এসইএসডিপি মডেল উচ্চবিদ্যালয় শিক্ষার্থী। সকালে প্রাইভেট পড়ে বৃষ্টির মধ্যে বাসায় ফিরছিল শারমিন। বাড়ির কাছে পৌঁছালে সে বজ্রপাতের শিকার হয়। নিহত শারমিনের পরিবার বলছে, বজ্রপাতের সময় শারমিন ছাতা মাথায় ছিল।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় বজ্রপাতে প্রাণ হারান কৃষক নব কুমার দাস (৬৫)। উপজেলার ছায়ার হাওরে ধান কাটার সময় সকাল সাড়ে ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।