শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে কথা হবে

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গ সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন। ২৫ মে পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধনের ফাঁকে দুই নিকট প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলবেন। দুই দেশে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসায়, গত বছরের এপ্রিলে দিল্লি শীর্ষ বৈঠকের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। প্রাসঙ্গিকভাবেই আসবে তিস্তার পানিবণ্টন প্রসঙ্গ। গত বছর নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, দুই দেশের বর্তমান সরকারের মেয়াদেই চুক্তিটি হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, মূলত শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন। এ ছাড়া আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁর একটি সাম্মানিক ডি-লিট ডিগ্রি গ্রহণের কথা রয়েছে। এসব অনুষ্ঠানের ফাঁকে ২৫ মে দুই প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের স্থান ও সময় প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত বৈঠকের স্থান চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ২৫ মে বৈঠক করার কথা বিবেচনায় আছে। যেহেতু এ বছর দুই শীর্ষ নেতার আর কোনো বৈঠকের তেমন সম্ভাবনা নেই। তাই এবারের বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে।

তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির অগ্রগতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা জানান, এ মুহূর্তে এ নিয়ে কোনো অগ্রগতির কথা জানা নেই। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এ নিয়ে প্রস্তুতি অব্যাহত আছে বলে বলা হচ্ছে।

ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, দুই সরকারপ্রধানের মধ্যে শেখ হাসিনাই শেষবার ভারত সফরে এসেছিলেন। আবার আসবেন কীভাবে, প্রশ্ন উঠছিল। তবে বাংলাদেশের কূটনীতিকদের কথায়, ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রীয় সফর বলা যায় না। পরপর দুবার কোনো দেশ সফরে প্রোটোকলগত বাধা নেই।