যশোরে 'ডাকাতদের' মধ্যে গোলাগুলিতে নিহত ১

বন্দুকযুদ্ধ
বন্দুকযুদ্ধ

যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় দুই দল ‘ডাকাতের’ মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। তবে নিহত ব্যক্তির স্ত্রী বলছেন, তাঁর স্বামী কারাগারে ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। আজ বুধবার সকালে তাঁর গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেল।

সকালে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হানুয়ার এলাকায় পুলেরহাট-রাজগঞ্জ সড়কের পাশ থেকে পুলিশ মুক্তার হোসেনের (৫০) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে। মুক্তার হোসেন মনিরামপুরের রতনদিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।

এ বিষয়ে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকাররম হোসেন বলেন, গতকাল গভীর রাতে স্থানীয় হানুয়ার এলাকায় দুই দল ডাকাতের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আজ সকাল সাতটায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলেরহাট-রাজগঞ্জ সড়কের পাশ থেকে মুক্তারের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে। এ সময় সেখান থেকে দুটি গুলির খোসাও উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত মুক্তার হোসেনের বিষয়ে ওসি মোকাররম হোসেন বলেন, তিনি একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাত। তাঁর বিরুদ্ধে যশোরের মনিরামপুর, কোতোয়ালি ও অভয়নগর থানায় দুটি হত্যা, দুটি হত্যাচেষ্টা, একটি ডাকাতি, একটি ছিনতাই, একটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, একটি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন ও চুরির ঘটনায় করা মামলা রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।

নিহত ব্যক্তির স্ত্রী সুমি খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ১ অক্টোবর যশোরের সদর উপজেলার চূড়ামনকাঠি এলাকা থেকে পুলিশ তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। এর পর থেকে তিনি যশোর জেলা কারাগারে ছিলেন। গতকাল তিনি জামিনে মুক্তি পান। সেদিন বিকেলে কারাগারে গেলে তাঁর স্বামীই জানান যে তিনি সেদিন মুক্তি পাচ্ছেন। আজ সকালে পুলিশ তাঁর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে।