শিক্ষকের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দিলেন ভূমি কর্মকর্তা

রাজশাহী
রাজশাহী

ঘটনাটি আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার। রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে দুজন কথা-কাটাকাটি করছেন। এঁদের একজন হলেন শহীদ সেকেন্দার মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল হক এবং অপরজন ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা প্রণব কুমার বিশ্বাস। একপর্যায়ে ভূমি কর্মকর্তা শিক্ষকের কাছ থেকে নেওয়া ৫০০ টাকা ফেরত দিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার অবসান ঘটান।

কী ঘটেছিল যে ভূমি কর্মকর্তা টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হলেন? জানতে গিয়ে কথা হয় দুজনের সঙ্গেই। শহীদ সেকেন্দার মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল হক বলেন, সম্প্রতি তিনি জমির খাজনা দেওয়ার জন্য ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আসেন। বকেয়া খাজনা বাবদ তাঁর কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা নেন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা প্রণব কুমার বিশ্বাস। এর বিপরীতে শিক্ষককে একটি রসিদ দেওয়া হয়। রসিদে ১ হাজার ৯০ টাকা উল্লেখ করা। বাড়তি টাকা নেওয়ার প্রতিবাদ করলে ৩০০ টাকা ফেরত দেওয়া হয় ওই শিক্ষককে। অবশিষ্ট টাকা অন্যান্য খরচ বাবদ রেখে তাঁকে চলে যেতে বলা হয়।


আজ দুপুরে তিনি অতিরিক্ত টাকা ফেরত নিতে ভূমি কর্মকর্তার কাছে আবারও আসেন। এ সময় সেখানে এই প্রতিবেদক উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষকের দাবির মুখে ভূমি কর্মকর্তা জানান, তাঁর পরিশ্রমের জন্য অতিরিক্ত ৫০০ টাকা নিয়েছেন। তিনি তা ফেরত দেবেন না।

শিক্ষকও ওই টাকা ফেরত না নিয়ে যাবেন না। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ভূমি কর্মকর্তা অতিরিক্ত ৫০০ টাকা ফেরত দিয়ে দেন। পরে তিনি এই প্রতিবেদকের পরিচয় পাওয়ার পর এ বিষয়ে কিছু না লেখার এবং ভূমি অফিসের সমস্যা তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশের অনুরোধ করেন।
এ ঘটনার ব্যাপারে বাগমারার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন না, তাঁকে কেউ অভিযোগও দেয়নি। তবে খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।